আব্দুর রশিদ: সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট মোড়, পলাশপোল স্কুল মোড়, জজকোর্ট মোড়, খুলনা রোড মোড়সহ বিভিন্ন দোকানপাট ও পথচারীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোগিতায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা ২ আসনের উন্নয়নের খন্ডচিত্র সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সহাদাৎ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আসাদুজ্জামান লাভলু, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, পৌর ৬নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা আবু আব্দুল্লাহ আবু সাক্কার, মো. নূর মনোয়ার হোসেন, পৌর যুবলীগ’র সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, পৌর যুবলীগ নেতা আল আমিন, পৌর ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক মো. আসাদুজ্জামান রনি, শহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, সাকিল, আব্দুল মজিদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রচেষ্টায় দৃশ্যমান উন্নয়নের মধ্যে ৭৯টি প্রাইমারী স্কুল ভবন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পিসিএল ল্যাব ওক্যান্সার পরীক্ষা ল্যাব, অক্সিজেন প্লান্ট ও রিজার্ভার, ইমার্জেন্সি আইসিইউ, সিসিইউ স্থাপনসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪৭৬ কোটি টাকা প্রদানসহ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।” এছাড়া ৯৭টি ওয়াশ ব্লক এবং ২৫টি বাউন্ডারি ওয়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। ৫৪টি মাধ্যমিক স্কুলের ভবন এবং আরো ৬টি ভবনের কাজ পক্রিয়াধীন রয়েছে। ৮টি কলেজ ও ১৭টি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণসহ ৫০টি প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র প্রদান। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ৬ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন বরাদ্দ। সাতক্ষীরা সদর আসনে এলজিইডির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং ১৯৫ মিটার ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও ৫টি হাটবাজার উন্নয়ন করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে মোট ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভায় কেএফডব্লিউ’র মাধ্যমে ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ। ৩ হাজার ৫৬টি গভীর নলকূপ ও ১৮৪টি অগভীর নলকূপ স্থাপন, ৫ হাজার ৫০৩টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্থাপন, ৪৩১টি স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা স্থাপন। কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৫৮ হাজার ২৩২ টাকা করে বছরে তিনবার এবং ২ কোটি টাকার উর্দ্ধে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১২৩ কোটি টাকার বিভিন্ন ভাতা প্রদান ও ক্যান্সার চিকিৎসায় ১০ কোটি টাকা প্রদান। মাতৃকালীন ভাতা ও ভিজিডি’র চাল বিতরণ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকার উদ্ধে। ১ হাজার পরিবারে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং মৎস্য অবমুক্তকরণ/ খাল খননে ৫০ কোটি টাকার উর্দ্ধে ব্যয় করা হয়েছে। ২ লক্ষ ১০ হাজার বৃক্ষ রোপণসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৭৮টি পরিবারকে জমি ও ঘর এবং ২ হাজার ৫০০ বান্ডিলের উর্দ্ধে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও সোলার প্যানেল স্থাপনে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় প্রদান করা হয়েছে। ৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, ৩১টি শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং আরো ২৫টি প্রস্তাবিত রয়েছে। ইতোমধ্যে ইকোনমিক জোন, ট্রেন লাইন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়া কমপ্লেক্স অনুমোদন হয়েছে। কারোনাকালীন ও অন্যান্য সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান এবং দুঃস্থ, অসহায় ও অস্বচ্ছল নেতাকর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সমাজহিতৈষী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।