নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষক আবুল বাসারের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০.৩০এ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শ্যামনগরবাসীদের ব্যানারে এ মানবন্ধনে শিক্ষক আবুল বাসারের প্রাক্তন ছাত্র, কৈখালীর ও শ্যামনগরের আপামর জনসাধারণ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে নিহতের ছেলে স্বাধীন বলেন, আমার বাবা নিজের জমানো টাকা ভেঙে তাদের দিয়েছে তারা তারপরও ক্ষান্ত হয়নি। তারা অব্যাহত চাপ দিয়ে গেছে। টাকা নেওয়ার পর কমিটির সদস্যরা আব্বুকে শোকজ করে। আব্বুর অপারেশন করা হয়েছিলো। তিনি ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি না দিয়ে তাকে শো-কজ করা হয়। এছাড়াও নানা ভাবে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে থাকে। এত মানসিক চাপ সইতে না পেরে আব্বু আমাদের এতিম করে চলে গেলেন।
আবুল বাসার দায়িত্ববান শিক্ষক ছিলো। ১০টি মাস ধরে ওই স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মজিদ, মান্নান, সালাউদ্দিন তাকে প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন করেছে। নতুন কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম, জাকির, মারুফা তাকে হয়রানিসহ নানা ভাবে তাকে হুমকি দিয়েছে। তাদের মানসিক নির্যাতনের মাত্রাটা এতটাই বেশি ছিলো যে শেষ পর্যন্ত সে মৃত্যুর পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।
শিক্ষক আবুল বাসারের স্ত্রী নুরন্নাহার মানববন্ধনে বলেন, ‘ভাষা হারিয়ে গেছে আমার। আমার স্বামীকে দশ মাস ধরে তারা নির্যাতন করে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি যে কি পরিমান নির্যাতন করেছে তা আমি কাছ থেকে দেখেছি। ষড়যন্ত্র করে এক মহিলাকে নিয়ে তারা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দেয়। ওই মহিলার কোন সার্টিফিকেট নেই। কমিটির লোকজন চেয়েছিলো তাকে চাকরি দিতে। যার জন্য আমার স্বামীকে চাপ দিতে থাকে। অযোগ্য লোককে নিয়োগ দিতে না চাওয়াই তার জন্য কাল হলো। ওই মহিলাকে দিয়েই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দেয়। বিভিন্ন সময় টাকা নিতো তারা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নাম করে। সব শেষে তাদের মানসিক অত্যাচারা সইতে না পেরে তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’