নজরুল ইসলাম, তালা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‘শারদীয় দুর্গাপূজার’ ১৯৬টি প্রতিমা বিসর্জন মধ্যদিয়ে শেষ হলো দূর্গোৎসব। এর আগে মন্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। মঙ্গলবার বিকালে তালা সদরের মেলা বাজার ভাঙনকূলে, পাটকেলঘাটার নদীরঘাটস্থ এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ কপোতাক্ষ নদের পাড়ে অংশ নেন। এবারের দুর্গাপুজো ২০ অক্টোবর শুরু হয়ে পাঁচ দিন মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং ২৪ শে অক্টোবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। তবে বিজয়া দশমীর দিন চারিদিকে বাজে বিষাদের সুর। পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য সূত্রে, তালা উপজেলার দুটি থানাধীন এলাকায় ১৯৬ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হবে। এর মধ্য পাটকেলঘাটা থানা পাঁচচি ইউনিয়নে রয়েছে ৮৩ টি পূজা মন্ডপ ও তালা থানার ৭ টি ইউনিয়নের রয়েছে ১১১টি পূজা মন্ডপ। সেগুলো হলো ধানদিয়া ইউনিয়নে দূর্গাপুজা হচ্ছে ১৭ টি মন্ডপে, নগরঘাটা ইউনিয়নে ৯ টি, সরুলিয়া ইউনিয়নে ২০টি, কুমিরা ইউনিয়নে ১৫টি, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ১০টি, তালা সদর ইউনিয়নে ২০টি, ইসলামকাটি ইউনিয়নে ২১টি, মাগুরা ইউনিয়নে ১১টি,খলিশখালী ইউনিয়নে ২২টি, খেশরা ইউনিয়নে ১৫টি, জালালপুর ইউনিয়নে ১৪টি, খলিলনগর ইউনিয়নে ২২ টি সর্বোমোট ১৯৬ টা পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিথি অনুযায়ী ২৪ অক্টোবার রাত্র ১২ টারদিকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গোৎসব। এদিকে বিজয়ী দশমীকে ঘিরে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী মেলা। মেলায় বাহারি মিষ্টি, মাটির খেলনা, আসবাবপত্র, বাঁশ ও বেতের সরঞ্জাম, গহনাসহ বাহারি পণ্যের দোকান, মিষ্টি পান, জিলাপি, মজাদার চানাচুর আর স্বাদের বাহারী পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।ভিড়ও জমেছে হাজারো সনাতন ধর্মীয় ভক্তদের। তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মমিনুল ইসলাম,পিপিএম ও পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, প্রতিমা বিসর্জন নির্বিঘ্নে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটিসহ সর্বস্তরের জনগণকে প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতার জন্য বলা হয়েছে।