প্রতিবাদ লিপি
বিগত ৮/৯/২০২৪ ইং তারিখে বিঞ্জ আমলী ১নং আদালত, সাতক্ষীরা সদর,সাতক্ষীরায় জনৈক জাফর আহম্মদ(৪০), পিতা-মো: ওসমান গাজী, মাতা-মনিরা খাতুন, সাং - উত্তর কাটিয়া, থানা- সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা, স্থায়ী ঠিকানা- ভোমরা, থানা-সাতক্ষীরা সদর,জেলা- সাতক্ষীরা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৯৫৪৪৭৫০৮১, মোবাইল নং- ০১৮৫৮৯৩০১৪৪ কর্তৃক সাতক্ষীরার তৎকালীন এসপি-চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির সহ মোট ৬৬ জনকে আসামী করে এলাকার মাদক কারবারী খলিল ওরপে পুটে,(পিতা-জনাব আজগর আলী ) ক্রস ফায়ারে হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ঘটনার তারিখ দেখানো হয়েছে ১০-০৭-২০১৪ রাত আনুমানিক ২:৪৫ ঘটিকা, ঘটনার স্থল- সাতক্ষীরা জজ কোট আদালত চত্বর দক্ষিন গেটের সামনে থেকে।
এই মামলায় ৬৬ জন আসামীর মধ্যে ভোমরা ইউনিয়ন থেকে জনাব ইসরাইল গাজী চেয়ারম্যান, জনাব নাজমুল আলম মিলন,জনাব নিজাম উদ্দীন, জনাব হারুন অর রশিদ, রহিম মেম্বার, মহিউদ্দীন মেম্বার(২ ছেলেসহ)সহ মোট ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে এবং ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তিকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল একটি কুচরী মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য অন্যদের সাথে এ মামলায় ভোমরা ইউনিয়নের লোকজনদের যুক্ত করেছেন।
এ আসামীদের কেহই মামলার সাথে সম্পৃক্ত নহে এবং স্বাক্ষীগন ও জানাইয়াছেন তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।এ ছাড়া বাদী যে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছে সেটিও সঠিক নহে। মামলার সাথে প্রদত্ত ভোটার আইডি নং টিও সঠিক নহে। সংশ্লিষ্ঠ আইনজীবি কোন কিছু যাচাই বাছাই ছাড়াই মামলাটি বিঞ্জ আদালতে উপস্থাপন করে আমলে নেয়ার আবেদন করেছে এবং বিঞ্জ আদালত সেটি যথাযথ যাচাই/বাছাই ছাড়াই আমলে নিয়ে এফআইআর করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ জন্য বিঞ্জ আইনজীবিই মূলত: দায়ী।তিনি যে হলফ নামা প্রদান করেছেন সেটিও যথাযথ হয়নি বলে মনে করি। এখানে আরোও উল্লেখ্য যে, যে ব্যক্তিকে ক্রস ফায়ারে দেয়ার জন্য মামলা করা হয়েছে সেটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে কিন্তু মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৪ সাল। এখানেও প্রতারনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এ ধরনের একটি জঘন্য নিকৃষ্ঠতম কাজের প্রতিবাদ স্বরুপ ইউনিয়ন বাসী বিগত ১০/৯/২৪ ইং তারিখে ভোমরা স্থল বন্দরে মানব বন্ধন করেছে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ মামলায় ভোমরা ইউনিয়নের সহ নিরাপরাদ ব্যক্তিদের আসামী করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরনের জঘন্য নিকৃষ্ঠ কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তি/ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে(মামলার বাদীসহ) দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছি । একই সাথে মামলাটি বাতিল করার জন্য বিঞ্জ আদালতের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
একই সাথে মানব বন্ধনের দিন আমাকে (মো: আফসার আলী, আহবায়ক, ভোমরা স্থলবন্দর পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটি,সাতক্ষীরা) এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে আপত্তিকর মিথ্যা, ভিত্তিহীন কুরুচিপূর্ন লেখা লিখে লিপলেট আকারে এলাকার মহিউদ্দীন ও ওবায়দুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন (তাদের দোসর) ঐখানে বিতরন করে এবং ওবায়দুল্লাহ সহ ২/৩ জন আমার নামে মিথ্যা রটনা রটায়। লিফলেটে কুরুচি পূর্ন শব্দ ব্যবহার করায় এবং মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি আমার গোচরীভূত হয়েছে।
আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা, ভিতিহীন, কুরুচী পূন ভাষা প্রয়োগ করে লিপলেট বিতরনের জন্য আমার ও আমার পরিবারের সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে যা অপূরনীয়। এক্ষনে আমি লিফলেট বিতরন কারীদেরকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কুরুচী পূর্ন ভাষা ব্যবহার করার জন্য বিবৃতির মাধ্যমে নি:শর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি নতুবা আমি/আমার পরিবার আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।
মো:আফসার আলী
আহবায়ক
ভোমরা বন্দর পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটি।
ভোমরা, সাতক্ষীরা।