নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিজের কেনা গরু ফিরে পেতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন প্রতিবন্ধি শেখ জাহাঙ্গীর। গতকাল তিনি এ আবেদন জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পৌছে দেন।
আবেদনে প্রতিবন্ধি শেখ জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আমি হালচাষ করার জন্য শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মেসার্স শেখ ডেইরী ফার্ম থেকে ক্রয় কৃত ২টি গরু টলিযোগে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পথে জনেক আরাফাত নামক সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তি কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা নামক স্থানে আমার ট্রলি আটক করে ভারতীয় গরু বলে চাঁদা দাবী করে। ট্রলিতে থাকা আমার লেবার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ফার্মের মালিককে বিষয়টি অবহিত করি।
তখন ফার্মের মালিক ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যানে ঘটনাটি জানায়। তখন সাংবাদিক পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোনে বলেন যে, গরুর পেছনে ভারতীয় গরুর সিল আছে অথচ গরুর পেছনে তিনি ভারতীয় সিল নেই বলে আমরা একই মোবাইলে জানিয়ে সরোজমিনে দেখার জন্য অনুরোধ করি। তিনি সরোজমিনে যেয়ে দেখেন গরুর পেছনে ভারতীয় সিল নেই এবং আমাদের কাছে যথাযথ কাগজপত্র আছে।
এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে মোবাইল ফোনে কালিগঞ্জ উপজেরা নির্বাহী অফিসার এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে গরু দুটি নিয়ে আমাদের যাওয়ার জন্য বলেন। অতপর গরু ২টি নিয়ে আমার লেবার আসার সময় কালিগঞ্জ এর ফুলতলা নামক স্থানে বিজিবি সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ফার্মের মালিক বিজিবি নিলডুমুর সিও এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিজিবি সদস্যদের কাছে যেয়ে কাগজপত্র দেখাতে বলেন।
সে মোতাবেক কাগজপত্র দেখালে বিজিবি সদস্যরা কাগজের কপি জমা রেখে আমার গরু ছেড়ে না দিয়ে অকশানে বিক্রয় করবেন বলে জানান। আমার মত অসহায় শারিরীক প্রতিবন্ধীর বৈধ গরু দুটি অকশানে বিক্রয় করা হলে আমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।’
অপরদিকে সত্য উন্মোচন করায় কথিত চাঁদাবাজ সাংবাদিক আরাফাত, মামুন, শিমুলদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে তাদের চাঁদাবাজি জায়েজ করতে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছে। অথচ তাদের নেতা আরাফাতের নামে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারে দপ্তরে ইতোপূর্বেও জমা হয়েছে। থানায়ও অভিযোগ আছে। অপরদিকে বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলাও চলমান আছে। এদিকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। যা পরের পর্বে সাতনদীতে প্রকাশিত হবে।