আহাদুর রহমান: প্রতারণামূলক ভাবে চলছে সুস্থ্যি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার। শুধুমাত্র অপরের সাইনবোর্ড ব্যবহার ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এমন অপকর্ম চালাচ্ছে একটি চক্র। ডাক্তার নার্স না থাকলেও শুধু মাত্র পল্লী চিকিৎসক দিয়েই চলছে সিজারিয়ান ডেলিভারিসহ করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুস্থ্যি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক শ্রী গৌতম ঘোষ। কিন্তু ব্যবসায় লসসহ নানমুখী সমস্যায় বন্ধ করে দেন ক্লিনিক। কিন্তু ক্লিনিকের বিভিন্ন দামী ইক্যুইপমেন্ট গুলো রেখে কী করবেন? তাই শুধু মাত্র ইক্যুইপমেন্ট গুলো বিক্রি করে দেন তিনি। কিন্তু যারা ইক্যুইপমেন্ট গুলো ক্রয় করে তারাই ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সুস্থ্যি ক্লিনিকের সাইনবোর্ডে ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করছে। এখানেই থেকে থাকেনি তাদের প্রতারণা। গ্রামাঞ্চল থেকে দালালের মাধ্যমে সিজারিয়ান রোগী এনে কাঁটাছেড়া করে ফায়দা লুটছে তারা। অভিযোগ আছে করোনায় আক্রান্ত রোগী এনে জ্বরের রোগী বলে চিকিৎসা করে মোটা অংকের টাকাও কামাচ্ছে চক্রটি।
সুস্থ্যি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক শ্রী গৌতম ঘোষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি শুধু মাত্র ক্লিনিকের মালামাল ও ইক্যুইপমেন্টগুলো বিক্রি করেছেন। তার যে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স আছে সেটিও চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হয়ে গেছে। ক্লিনিকের ব্রান্ড তিনি বিক্রী করেননি।
গৌতম ঘোষ সাতনদীকে জানান, ‘আমি তাদের কাছে শুধুমাত্র ইক্যুইপমেন্ট বিক্রি করেছি। সেই সাথে বাড়ির মালিকের সাথে করা চুক্তিপত্রও বাতিল করে বাড়িটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছি। তারা আমার লাইসেন্স করা নামে আমার সাইনবোর্ডেই ক্লিনিকের ব্যবসা চালাচ্ছে। আমি ব্যবসায় ইতোপূর্বে বন্ধও করে দিয়েছি। সে মোতাবেক একটি বিজ্ঞপ্তিও পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।’