প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১২:২২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ
প্রতাপনগরে মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানের মাছ ধরার ১১ টি জালে আগুন
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) ঃ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে গেছে মৎস্যজীবী খায়রুজ্জামানেরর ১১টি মাছ ধরার জাল। দীর্ঘ এক বছরের স্বপ্ন ধুলায় মিশে গেল মুহুর্তের মধ্যে।
প্রতাপনগরের চাকলা গ্রামের খায়রুল ইসলাম সাগরে জাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে জাল তৈরীর কাজে ব্যস্ত ছিলেন খাইরুল ও তার সঙ্গীরা। বনবিভাগের পাস পেলেই সুমুদ্রে যাবেন মাছ আহরণ করতে। কিন্তু বিধিবাম রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে তার ১১টি বেড় জাল। খায়রুল সহ আরও ৩০/৩২ জন মৎস্যজীবি বনবিভাগের অনুমতি পেলে পাঁচ মাসের জন্য দুবলার চর এলাকায় গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল প্রস্তুত শেষে সোমবার সকালে নৌকায় তোলার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই পেট্রোল ব্যবহার করে আগুন দিয়ে বিশ লক্ষ টাকার এগারটি জাল ধ্বংস করা হয়। সর্বশান্ত হয়েছে মৎস্যজীবি খায়রুল সহ আরও ৩০জন মৎস্যজীবি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুমুদ্রে মাছ আহরণ করা। প্রতিনিয়ত বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রতাপনগর এলাকার এসকল মানুষ। তাই জলে কুমির আর ডাকাতের আক্রমণকে উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে পরিবার ও জীবন জীবিকার তাগিদে গভীর সুমুদ্রে মাছ ধরার কাজ বেছে নিয়েছিল তারা। তাই তাদের মাছ ধরার বেড় জালের সাথে সাথে পুড়ে গেছে তাদের সব স্বপ্ন।
স্থানীয় মাওলানা তৌহিদুজ্জামান জানান, রাস্তায় চিৎকারের শব্দ শুনে গিয়ে দেখি খায়রুজ্জামানের বেহুন্দিজাল দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন আমরা পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পেট্রোলের গন্ধ পেয়ে ছিলাম। হাবিবুর রহমান জানান, আগুন নিভানোর পর আমার রাস্তার উপর থেকে একটি গ্যাস লাইট পাই।
এঘটনায় খায়রুজ্জামান বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী শাহ ওহিদুজ্জামান শাহিন, সমাজ কল্যান সম্পাদক ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওঃ রিয়াছাত আলী, ইউনিয়ন আমীর মাওঃ অহিদুজ্জামান, নায়েবে আমীর মাওঃ শফিকুল ইসলাম,সেক্রেটারী মাওঃ আল-আমিন, সাংবাদিক আবু সালেহ প্রমুখ।
Copyright © 2025 দৈনিক সাতনদী. All rights reserved.