বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী পরীক্ষার্থী এহসানুল হক সৈকত অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ। এটি নিয়ে এনটিভি, আরটিভি, যমুনা টেলিভিশনসহ দেশের কিছু স্বনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভ্রান্তি মূলক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যা মরহুমের পরিবার, সহপাঠি ও শিক্ষকদের জন্য অস্বঃস্তিকর, দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক।
প্রকৃত ঘটনা হলো, গত বৃহস্পতিবার (৯,ফেব্রুয়ারি) বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক শিক্ষা সফরে পূর্বনির্ধারিত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজার জিয়ারত শেষে শিক্ষার্থীদের ভাঙ্গা গোলচত্ত¡র যাত্রা বিরতি দেওয়া হয়। শিক্ষকদের তত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা গোলচত্ত¡রে অবস্থান নেয়। গোলচত্ত¡রে অবস্থান নেওয়া পর পরই লোডশেডিয়ের কারণে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সে সময় অসাবধানতা বশত শিক্ষার্থী এহাসানুল হক সৈকত ওভারব্রীজের রেলিং থেকে নিচে পড়ে তার মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত পায়। সাথে সাথেই চলতি ইঞ্জিনভ্যান যোগে তাকে ভাঙ্গাউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করে। সেখান থেকে এম্বুলেন্স যোগে দ্রæত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, নিহতের আপন চাচাতো দুই বোন একই স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা ও ফারজানা সুলতানা (মুক্তা)সহ তার ঘনিষ্ঠ পাঁচ সহপাঠি আশিক মুজাহিদ, নাহিদ হোসেন, আরাফাত রহমান ও আশিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের বড় ভাই ইনজামুল হক শুভ ও তার খালাত ভাই ঢাকা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পৌছায়। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের ভাইয়ের তত্ত¡াবধানে লাশ নিয়ে রাত আনুঃ ৩টার সময় বাড়ি পৌছায়। শুক্রবার বাদ জুমা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাতে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রাসহ বহু মানুষ অংশগ্রহণ করে।
মোঃ জামিলুজ্জামান
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আখড়াখোলা, সাতক্ষীরা।