সাতনদী ডেস্ক: আশাশুনিতে পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে জামায়াত-শিবিরের তোকমা লাগিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভূগি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির বেইলি গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. রমজান আলী। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন আশাশুনির বেউলা মৌজায় বি আর এস খতিয়ান ১৪০৬, দাগ ১৯১১, ১৯১৩ জমির পরিমান ৮৮ শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু একই এলাকার মৃত কেয়ামউদ্দীন শেখের পুত্র সোহরাব শেখ ও সালাম শেখ ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে চক্রান্ত শুরু করে। কিন্তু কোনভাবে না পেরে এখন আমাকে জামায়াত-শিবিরের নেতা বানিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করিয়ে দেয়। অথচ আমি কখনো জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। যেটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই জানেন। বর্তমান বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মাহববুল হকও আমার সম্পর্কে অবগত আছেন। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আমার পরিবারের জানাশোনা রয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আমাকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যেই সালাম ও সোহরাব শেখ ওই ঘৃন্য ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগ করি। অথচ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জেল খাটতে হয়েছে। আবারো মিথ্যা মামলায় জেল খাটাতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। আমাকে ওই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও উল্লেখিত সালাম ও সোহরাব আমাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছি। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে উল্লেখিত ভূমিদস্যু সালাম ও সোহরাবের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতিসহ নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।