
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতনের তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠ বিচার পায়নি সংখ্যালঘু পরিবারটি। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে তারা।
গত শনিবার সদর উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মৃত জনাব আলীর ছেলে জিয়ান আলীর নেতৃত্বে পাশ্ববর্তী শিবপুর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার বসন্ত সরকারের ছেলে উজ্জ্বল সরকারের পরিবারের উপর অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে জিয়ান আলীসহ তার সন্ত্রাসীবাহিনী। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে মাহমুদপুর এলাকার জিয়ান আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিলো উজ্জ্বল সরকারের। এর সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকালে জিয়ান আলী, তার ছেলে রাফিল হোসেনসহ বহিরাগত ২০/২৫জনের সন্ত্রাসীবাহিনী উজ্জ্বল সরকারের বসতবাড়িতে প্রবেশকরে তাকে সহ তার বাবা বসন্ত সরকার, মা নৌমিতা বিশ্বাসকে বেধড়ক ভাবে মারধর করতে থাকে। এসময় জিয়ান আলী ও তার বাহিনীর হাত থেকে নিস্তার পাননি উজ্জ্বল সরকারের ৫ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী সুষমিতা সরকার। ৫ মাস অন্তঃসত্ত¡া থাকলেও গৃহবধূ সুষমিতা রাণীর গর্ভে লাঠি মারেন তারা। এসময় সুষমিতা সরকার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সুষমিতা সরকার জ্ঞান হারালে উজ্জ্বল সরকার ও বসন্ত সরকারকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন তারা। ঘটনার এক পর্যায়ে উজ্জ্বল সরকারের মাথা ফেটে রক্তপাত হতে থাকলে জিয়ান আলী সহ তার বাহিনী চলে যায়। এলাকাবাসী আরোও জানান, ওই অঞ্চলে ৫/৬ঘর সংখ্যালঘু স¤প্রদায় হওয়ায় তাদেরকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন সময়ে জিয়ান আলীসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী তীব্র অত্যাচারে তটস্থ রাজাপুর এলাকার সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের পরিবারগুলো। সে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের পরিবারগুলো বর্বর নির্যাতনের শিকার হন। এঘটনায় উজ্জ্বল সরকারের পিতা বসন্ত সরকার ঘটনার দিন জিয়ান আলীসহ তার সন্ত্রাসীবাহিনীর শাস্তির জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগের তিনদিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত কোনপ্রকার বিচার না পাওয়ায় হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন উজ্বল সরকারের পরিবার। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এস,আই মানিক বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের উপর নির্যাতনের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।