
ইয়ারব হোসেন: বাবা বড্ড শীত নাগদে, গা কাপ দিতে। মনে করিলা আজ গ্রাম বেড়াবান না। কিন্ত তরকারি ও চালনি। তাই কষ্ট নাগরিও বের হয়ছি। যা হয়েছে তাই দে বাজার করিছ। শীত তো বাবা পেট বোঝে না। তাই বাড়ি থাকতি পারলা না। খতি বের হলে। বাবা স্বামী মারা গেছে অনেক দিন হয়ে। বাড়ি ঘর নিকো। বিহারীনগর গ্রামে জামাই নেছার আলির বাড়ি নইছি। জামাই নেছার আলি মরে গে। বাবা বয়সা হয়েছে ৮০ বছর। বয়স্ক ভাতার কার্ড নিকো। শীতে একখান কম্বল পায়নি। মেয়ে বিহারিনগর গ্রামের রাশিদার বাড়ি থাকি। গ্রাম করি। বাবা একটা কার্ড হবেনি। কথা গুলো গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলছিলেন সাতক্ষীরা সদরের বিহারিনগর গ্রামের মৃত নেছার আলির ৮০ বছর বয়সের শাশুড়ি আছিয়া খাতুন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কথা হয় বিকালে। অসহায় আছিয়ার কথা শুনেই হৃদয় নাড়া দিয়ে যায়। এসব অসহায় বৃদ্ধা মানুষগুলোর খোঁজ কেউ রাখে না। বর্তমান সময়ে সরকার এসব অসহায় মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট দিলেও এদের হাতে কোন জিনিসও পৌছায় না। কষ্টই যেনো মৃত্যু পর্যন্ত এদের সম্বল। আমরা কি পারিনা সব স্বার্থ ত্যাগ করে এদের পাশে দাঁড়াতে। এলাকার মেম্বর-চেয়ারম্যানরা কি করে? এসব ছিন্নমুল মানুষগুলো সারা জীবন কি অবহেলার চোঁখে থাকবে। আসুন না আপনজন ভেবে এদের পাশে দাঁড়াই। বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের কাছেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।