২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ আট হাজার ৭০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চীন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় যা তিন হাজার ৫৮০ মেগাওয়াট বেশি।
নিক্কি এশিয়ান রিভিউ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯৮ হাজার মেগাওয়াট। এর সঙ্গে নির্মাণাধীন এবং পরিকল্পনাধীন পাওয়ার স্টেশনের হিসাবসহ ২০৩০ সালে মোট উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে এক লাখ পাঁচ হাজার ১২০ মেগাওয়াট।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ৬২ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স এবং ৪৫ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন।
চীনের ১১টি নতুন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণাধীন রয়েছে এবং পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে আরও ৪০টিরও বেশি চুল্লি। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত নতুন চুল্লির সংখ্যা চীনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। সেই সঙ্গে পুরনো বেশ কয়েকটি চুল্লি তারা বন্ধ করে দিয়েছে এবং আরও বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে রাশিয়া এবং ভারতও। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, উৎপাদন সক্ষমতা হবে বর্তমান সক্ষমতার দ্বিগুণ।
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর এশিয়ার দেশ জাপান পারমাণবিক চুল্লির ওপর কঠোর বিধিমালা আরোপ করেছে। যেসব চুল্লির বয়স বেশি হয়ে গেছে, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বিপরীতে, চীন ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর প্রায় ৩০টি নতুন চুল্লি চালু করেছে।