মামুন রেজা: আশাশুনি উপজেলার কাটাখালির ও ঘুষুড়ি এলাকায় বেড়িবাধ সংস্কারের নামে অনিয়ম ও লুটপাটের এ অভিযোগ উঠেছে। প্রায় সাড়ে চারকোটি টাকা ব্যায় বরাদ্ধে বেড়িবাধ সংস্কারের কার্যাদেশ দেয় সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী। কিন্ত সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠিান অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে সংস্কার কাজে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাট সম্ভব হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার কাটাখালির হইতে জদ্দার মোড় পর্যন্ত ১ নম্বর পোলডারের অধিনে ৩.৭০০ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধটি সংস্কার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার বিল্লালের সহযোগী আসাদুল ও মফিজুল বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে সুবিধামত স্থান থেকে মাটি কাটার নামে এলাকার নিরীহ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর টাকা দিতে না পারলে ইচ্ছা মত মাটি কেটে বসতি মানুষের ক্ষতি সাধন করে চলেছে। যারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদেরকে নানান হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দুই শতক জমি ও ঘরসহ তাদেরকে উচ্ছেদ করার হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও বেড়িবাধের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে সয়লাব করা হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে, ঠিকাদারের লোকজন বলে কাজের সুবিধার্থে তারা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এছাড়াও বাধের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন খনন কাজ না করার ঘোষণা থাকলেও একেবারে বাধের পাশেই গভীর খনন করে মাটি উত্তোলনের চিত্রও দেখা গেছে। কার্যাদেশ অনুযায় বাধ সংস্কারে না করে শুভাংকরের ফাকির অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার বিল্লালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বেশ কিছুদিন হল তিনি কাজ দেখতে আসেননি।