জাতীয় ডেস্ক:
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পারের সুযোগ মিলছে। যাত্রীরা স্বস্তি নিয়েই ফেরি ও লঞ্চ পার হতে পারছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেরি সেক্টরের ওই কর্মকর্তারা জানান, সোমবার রাত থেকেই পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার সকালের দিকে দূরপাল্লার বাসের তুলনায় ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিল বেশি। যানবাহন ও যাত্রী চাপ থাকলেও দীর্ঘ সারি কিংবা যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না ঘরমুখো মানুষকে। ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ একেবারেই স্বাভাবিক। ঘাটে আসার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই গাড়িগুলো ফেরি পারের সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। তাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।
ফেরি সেক্টরের কর্মকর্তারা জানান, ঘাটে এসে সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। তবে মাঝে মধ্যে বৃষ্টির কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ছোট বড় ২০টি ফেরি রয়েছে। বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। রাত থেকে ঘাটে যাত্রী, যানবাহনের চাপ বাড়লেও অনায়াসেই পার হতে পারছে সবাই। তবে নদীতে পানি বাড়ায় পারাপারে আগের চেয়ে কিছুটা সময় বেশি লাগছে।
তিনি আরও বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২২টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ পারাপারে ১০টি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। যাত্রীর চাপ বাড়লেও নৌপথ পারাপারে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। এবারের ঈদযাত্রায় পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হবে না।