
সংবাদদাতা: পাটকেলঘাটা টু দলুয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ কি:মি: সড়ক জরাজীর্ণ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। নতুন করে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই এলজিইডির। নাজেহাল হচ্ছে হাজার হাজার যানবাহন। এই সড়কে দৈনিক ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নসিমন, করিমন, আলমসাধু, মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও বাই সাইকেল। মান্দাতার আমল থেকে পাটকেলঘাটা টু দলুয়া সড়কটা ছিল কাদা মাটির। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর পাটকেলঘাটা টু দলুয়া পর্যন্ত ১০ কি:মি: সড়কের টেন্ডার হয়। এতে করে সড়কটা সম্পূর্ণ পিচ ঢালাই হয়। ১৯৯৭ সালে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ এরই পর পরই সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতি ভুমরা টু দলুয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ১ বছর বাস চলার পর মালিক সমিতির লোকসান হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। বাস চলাচল করলেও সড়কের তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ছোট খাট কিছু গর্ত হলেও ২০০৫ সালের দিকে পুটিং করে এলজিইডির কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। এই ১৬ বছরের মধ্যে সড়কের এমন হাল ১০ হাত ও ভাল নেই। দক্ষিন অঞ্চলের মধ্যে আশাশুনি, বুধহাটা, কাদাকাটি, রাজাপুর এদিকে মাগুরা, জেঠুয়া, কপিলমুুনি, পাইকগাছা, বাঁকা, লাড়–লি, বড়দল, চাঁদখালী, হরিহরনগর, মুড়াগাছা সহ অত্র অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আসে পাটকেলঘাটার হাটে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারনে চলাচল করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি ছোট ছোট যানবাহনগুলি ইট খোয়ার কোনায় লেগে টায়ের ছিড়ে যাচ্ছে, গাড়ীর এক্সেল ভেঙ্গে যাচ্ছে। নাজেহাল হচ্ছে চালকরাও আর যাত্রীরা। মহেন্দ্র ইজিবাইক ও নসিমন এর যাত্রীরা চলাচলের সময় দোল খেতে খেতে তাদের গন্তব্য স্থলে পৌছাতে হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট চালক ও যাত্রীদের আহবান পাটকেলঘাটা টু দলুয়া পর্যন্ত ১০ কি: মি: সড়ক সংস্কারের জন্য আহবান জানিয়েছেন।