
সাতনদী ডেস্ক: পাটকেলঘাটায় অস্বাভাবিক ভাবে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ভাবেই যেন পুলিশ নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। মাঝে মধ্যে থানায় দু-একজন চোর চক্রের সদস্য ধরা পড়লেও অধিকাংশ চোর থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না ঈদগাঁহ কিংবা মসজিদও। প্রায় প্রতি রাত্রে কোনো না কোনো এলাকায় চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত ১ সপ্তাহে পাটকেলঘাটায় চুরি যেন মহামারী আকার ধারন করেছে। পুলিশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অভিনব কায়দায় চোরেরা বেপরোয়া ভাবে চুরি সংঘটিত করছে। সর্বশেষ পাটকেলঘাটা থানার সন্নিকটে পারকুমিরা গ্রামের আলফাজ উদ্দীনের বাড়ীর পাচিলের গেট ভেঙ্গে মঙ্গলবার রাতে ১টি ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে গেছে। এর দুই দিন আগে ঐ বাড়ীর সামনে আবু বক্কার সিদ্দীক খোকার বাড়ী থেকে সকাল ১১টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। গত ৩ ডিসেম্বর কুমিরা থেকে ১টি ইজিবাইক চুরি হলেও পুলিশ চোর সহ ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে। এর আগে চৌগাছা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের বাড়ী দূধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়। একই দিন পাটকেলঘাটা পশ্চিম পাড়ার আব্বাস আলীর বাড়ী থেকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নগদ টাকা সহ প্রায় ৭ লাখ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়। বাইগুনি গ্রামের ইকরামুলের বাড়ী থেকে অভিনব কায়দায় চুরি হয়। এছাড়া পাটকেলঘাটা বাজার মসজিদের সামনে থেকে ১টি, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে ১টি, মান্নান হুজুরের হোটেলের সামনে থেকে ১টি মটরসাইকেল চুরি হয়। বাইগুনি ঈদগাঁহের টিউবওয়েলটিও চুরি হয়ে গেছে। পাটকেলঘাটা বাজারে হাইস্কুল রোডের লিটন স্টোর থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সহ প্রায় ৪লাখ টাকা ও বাজারের হলুদ হাটার মিজানের দোকান হতে নগদ ৪লাখ টাকা সহ ক্যাশ মেমো চুরি হয়ে যায়। এ মর্মে গত ৭ ডিসেম্বর থানায় ১টি সাধারন ডায়রী করা হয়।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় এসব চুরির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় চোর যারা জেলে ছিল এখন তারা ছাড়া পেয়ে আবারও চুরি কাজে নেমে পড়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের ধরার বিষয়ে আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নিচ্ছি।