আব্দুর রশিদ: পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী মৌজার মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামের স্বত্ত্ব দখলীয় জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে গোবিন্দলাল ঘোষ ও সিরাজুল দফাদার গং। স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্ররোচনায় ও ছত্রছাতায় জমির প্রকৃত মালিকদের উচ্ছেদের পায়তারা করছেন তারা। জমির মালিকদের মারপিট, মিথ্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায় খলিষখালী মৌজার সি,এস ৮০৫ নং খতিয়ানের প্রকৃত মালিকগনের নিকট থেকে ৩৭৬৬, ৩৭৭৬, ৩৭৯৫ দাগে ৩.৮৯ শতক রেজিঃ কবলায় আক্কাস দফাদার ও মোন্তাজ দফাদার খরিদ করেন। উক্ত তপশীল সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারের কেস নথি নং-৬৭৮/৮১-৮২ ,১৭/০৮/১৯৮১ তারিখে ‘ক” গেজেট ভুক্ত খাষ হওয়ায় জমির প্রকৃত মালিক আক্কাস দফাদার ও মোন্তাজ দফাদারের ওয়ারেশ জলিল দফাদার, সালাম দফাদার, বারিক দফাদার, সুমন দফাদার, কাদের দফাদার গং রা এসিল্যান্ড অফিস থেকে নির্ধারিত বন্দোবস্ত নিয়ে ও সন সন খাজনা দাখিলাদি পরিশোধ করিয়া আসিতেছে।
এলাকার ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষ জমির পূর্বের মালিক চারুচন্দ্র রায় চৌধুরির ওয়ারেশ গণের (বর্তমানে ভারতের স্থায়ী নাগরিক) নিকট থেকে কথিত পাওয়ার অব এ্যাটর্নির বলে উক্ত সম্পত্তি দখল করার পায়তারা চালাছেন। তার এহেন কাজে সহযোগীতা করছেন বর্তমানে বৈধভাবে জমির দখলকারক সালাম দফাদার গং দের শরিক সিরাজুল দফাদার। উক্ত সিরাজুল দফাদার বিভিন্ন সময় জমি থেকে সালাম দফাদার, জলিল দফাদার গং দের উচ্ছেদ করার জন্য হামলা মামলা ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমনকি তাদের ধানের জমিতে চুক্তিভিত্তিক বোরের মাধ্যমে পানি দেওয়ায় একই এলাকার মৃত আব্দুল হাই এর বিধবা স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও কন্যা রেশমা খাতুনকে মারপিট ও শ্লীলতাহানী ঘটায় সিরাজুল দফাদার।
সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের সহ জেলা পুলিশ সুপার, এসিল্যান্ডের দফতরে বিভিন্ন কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করে গোবিন্দ লাল ঘোষ ও সিরাজুল দফাদার। এসব মামলা ও অভিযোগের তদন্তে জলিল দফাদার, বারিক দফাদার গংদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতকিছুর পরেও শান্তিপূর্ণভাবে জমির দখলে থাকা জলিল দফাদার, বারিক দফাদার, সালাম দফাদার, কাদের দফাদার গং দের জমি, থেকে উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ এমনকি রাতে বাড়িতে বিভিন্ন অপরিচিত লোকজন পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগী জলিল দফাদার অভিযোগ করেন।
গোবিন্দলাল ঘোষ ও সিরাজুল দফাদারের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ও স্বত্ত্ব দখলীয় জমিতে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করতে পারে তদজন্য জেলা পুলিশ সুপার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগীরা।