এস.এম মজনু, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) থেকে: পাটকেলঘাটায় অতিরিক্ত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় পাষন্ড স্বামী জগন্নাথ দে (২৫) তার স্ত্রী মিনতি রানী দে (২২) কে পিটিয়ে হত্যা করে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। থানায় মামলা, স্বামী গ্রেফতার। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, কুমিরা গ্রামের গৌরাঙ্গ দে এর পুত্র জগন্নাথের সাথে গত চার বছর পূর্বে একই থানার খলিষখালী গ্রামের বিশ্বজিত দের মেয়ের সনাতন ধর্মের বিধি অনুযায়ী ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাত পাকের মধ্য দিয়ে বিবাহ হয়। দুই বছর জগন্নাথ ও মিনতির সংসার জীবন সুখময় ছিল। কিছুদিন পর থেকে স্বামী জগন্নাথ যৌতুকের দাবী করে। ইতোপূর্বে জীবিত থাকা অবস্থায় মিনতি জানাই, বিবাহের সময় আমার বাবা নগদ ২ লক্ষ টাকা, স্বর্ণের গহনা সহ আনুমানিক ৫ লক্ষাধীক টাকা বুঝিয়ে দেয়। এখন আমার গরীব পিতার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবী করছো! আমার পিতা আর কোন টাকা দিতে পারবেনা। একথা বলার পর থেকে নির্যাতনের পালা তার উপর বাড়তে থাকে। তার পরও ৬ মাসের শিশু কণ্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর ঘরে জ্বালা যন্ত্রনা সয়ে আসছিল। এদিকে, গত শুক্রবার বিকালে জগন্নাথ স্ত্রী মিনতিকে ৩য় বারের মত বাপের বাড়ী থেকে টাকা আনার কথা জানালে স্ত্রী ছাফ কথা জানিয়ে দেয়। এবার শুরু হয় তার উপর মারপিট। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তড়ি ঘড়ি করে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে স্বামী জগন্নাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় একটি মামলা হয়েছে যার নং: ০৩, তারিখ: ২১/১২/২০২৪।
পাটকেলঘাটায় যৌতুক না পাওয়ায় জীবন গেল গৃহবধু মিনতি রানীর
পূর্ববর্তী পোস্ট