পাইকগাছা প্রতিবেদক:
পাইকগাছার নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজায় লীজঘেরের রিং বাঁধ ও ওয়াপদার বাঁধ সংস্কার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিয়ে সোমবার সকালে সরজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নোয়ালতলা ও চক শুননাল মৌজা। এ মৌজায় ৭ শ বিঘা চিংড়ী ঘের মালিক শেখ আনারুল ইসলাম ও নির্মল মজুমদার। সম্প্রতি লীজ ঘের এর উপর সরকারী নীতিমালা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও চিংড়ী চাষী সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেঁড়িবাঁধ দিয়ে পরিকল্পিত উপায়ে চিংড়ী চাষের কথা হয়।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ আনারুল ইসলাম ও নির্মল মজুমদার ওয়াপদার বাঁধ সংস্কার ও বিকল্প বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এদিকে ওয়াপদা'র জায়গা কেটে ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দেন স্থানীয় গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া সহ এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিলে সে মোতাবেক সোমবার সকালে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ ও কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার জানান, আমি সব সময়ে ঘের বিরোধী। তবে ঘের মালিক আনোয়ার রিং বাঁধসহ ওয়াপদা সংস্কার করে সর্বসাধারণে উপকার করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ জানান, ওয়াপদার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে কাজ করা ঠিক হয়নি। বাকী মতামত লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান ।
ঘের মালিক আনারুল ইসলাম জানান, যেহেতু ওয়াপদার রাস্তাটি নীচু ও অনেকটা চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। মাসিক সমন্বয় মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে ওয়াপদা সংস্কার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছি। ওয়াপদার কাছ থেকে পুনরায় অনুমতি নেয়া লাগবে এটা আমার জানা ছিল না। তবে অধিকাংশ লোকই এ কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।