পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় জমি কিনে বিপাকে পড়েছে স্কুল শিক্ষকসহ তিনজন ক্রেতা। জমির মালিক ক্রেতাদের জমি বুঝে দিলেও তাসলিমা নামে এক গৃহবধু মামলা মকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করায় সম্পত্তি দখল নিতে পারচ্ছেনা ক্রেতারা। জানা যায়, উপজেলার মেলেক পুরাইকাটী গ্রামের মীর আকবর আলী ৪০ শতক জমির মালিক। তিনি তার মেয়ে স্বপ্নার নামে ৬ জুলাই ২০১২ সালে সমস্থ জমি অসিয়াত করে দেন। যা পরবর্তীতে ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ সালে ৩৮২০/১২ নং কোবলা দলিলে তাকে রেজিঃ করে দেন। স্বপ্না এখানে বসবাস না করার কারনে ২৫ মার্চ ২০২০ সালে স্থানীয় মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে স্কুল শিক্ষক তৌহিদুর রহমানের কাছে ১০ শতক,পারুলের কাছে ৫ শতক ও রওশনারার কাছে ৭ শতক জমি কোবলা রেজিঃ করে দিয়ে আমিন (সার্ভেয়ার) দ্বারা জরিপ করে দখল বুঝে দেন বলে ক্রেতারা জানান। দখল বুঝে দিলেও আকবার আলীর পুত্রবধু আসগার আলীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে জমিতে যেতে দিচ্ছে না। যে কারনে সম্প্রতি জমির মালিকরা থানায় জিডি, করেছে। জিডি'র সুত্র ধরে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গত ২০ জুলাই শালিসি বৈঠকে বসলে তাসলিমার কথা শালিস-বিচার মানিনি। জমি হবে না। এ সময় শালিসের লোকেরা শালিস না করে চলে আসেন। কোন ঘটনা না ঘটলেও ৩ আগস্ট মারপিট ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ এনে মেলেকপুরাইকাটী গ্রামের আমজেদ সরদারের ছেলে আনোয়ার সরদার, হাফিজ শেখের ছেলে তহিদুল শেখ, মাসুম শেখ ও ইসমাইল মীরের ছেলে সিরাজুল ইসলামে নামে থানায় মামলা করে তাসলিমা বেগম। তহিদুল জানায় তাসলিমা খুব দুর্দান্ত, যেকোন ঘটনা ঘটাতে তার সময় লাগে না, মান সম্মানের ভয়ে এলাকার লোকেরা তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পায়। তাসলিমা জানায় তাদের জমি য্যানে আছে সেইনতে নিউক। উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ সাধু ও সাবেক ইউপি সদস্য মীর আনোয়ার এলাহী বলেন, তাসলিমা প্রতিপক্ষদের উপর অন্যায় ভাবে পরের জমি জবর দখল করে রাখছে। সে শালিস বিচার মানে না।