পাইকগাছা প্রতিবেদক: জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পাইকগাছার অবৈধ ৬ ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। রবিবার দিনব্যাপী পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রট মোঃ আসিফুর রহমান।
ইটভাটা লাইসেন্স, পরিবেশের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানো লাইসেন্স অনুমোদন ব্যতীত মাটির ব্যবহার ইটভাটা প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন , নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ ( সংশোধন -২০১৯) এর সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘনের অপরাধে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কাওয়ালী ফতেপুরের আল্লাহর দান ব্রিকস, সামিলা ব্রিকস, গড়েরডাঙ্গা বিবিএম ব্রিকস, কালিদাসপুর এএস এম ব্রিকস ও গদাইপুরের পুরাইকাটির ফাইভ স্টার (এনএসবি) ব্রিকসের প্রত্যেক কে ১লাখ টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা এবং কানুয়ারডাঙ্গা সরদার (এম এসবি)ব্রিকস কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই সময় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ, জেলা পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ আবুল কালাম মোড়ল, পাইকগাছা থানার এসআই সুভাষ রায়, সাদ্দাম হোসেন, এএসআই মোস্তাক আহমেদ, হুমায়ন, নাজমুল। অভিযানে পার্শ্ববর্তী উপজেলা আশাশুনি ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মোঃ আসিফুর রহমান বলেন, ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ধারা মোতাবেক ইটভাটা স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু জরিমানা করা ইটভাটাগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স হালনাগাদ নেই। ফলে আজ আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয়টি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। তিনি আরও বলেন, ‘ইটভাটা পরিচালনা না করা এবং ইট তৈরিতে অবৈধভাবে মাটি ও কাঠের ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।
পাইকগাছায় অবৈধ ৬ ইটভাটায় যৌথ অভিযান, সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা
পূর্ববর্তী পোস্ট