সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: স্থল পথের নানান প্রতিকূলতা এড়াতে শ্যামনগর সীমান্ত জুড়ে মুষ্টিমেয় পাচারকারীচক্র সুন্দরবনের ভেতরে বিভিন্ন নদী চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে। হাতে গোনা এসব পাচারকারী চক্রের গোলক ধাধায় যেন সবাই অসহায়। থেমে নেই ওই চক্রের অপতৎপরতা। কেউ বিশেষ বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে এবং কেউ বনদস্যুতা হতে আতœসমর্পন করে ভোল পাল্টে পুনরায় চোরাচালানের মত সর্বনাশা পেশায় লিপ্ত।
সুন্দরবনে থেমে নেই গরু পাচার। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে সীমান্তে ওই চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ২/১ টি চোরাচালান ধরা পড়লেও অধিকাংশই থাকে অধরা। এদের খুটির জোর কোথায়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এর দায়ভার এড়াতে পারে না।
সুন্দরবন উপকূলবর্তী বিভিন্ন জনের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, সুন্দরবন উপকূলে বিশেষ করে গোলাখালী গ্রামে সিয়াম উদ্দীন গাজীর পুত্র একাধিক মামলার আসামী আতœসমর্পনকৃত বনদস্যু জামু, হরিনগর (মক্তব) গ্রামে আক্কাজ ডাক্তারের ছেলে কথিত সোর্স আলম সিদ্দিকি, গোলাখালী গ্রামে আবুল হোসেনের ছেলে বেল্লাল, টেংরাখালী গ্রামে জহুর গাজীর দুই ছেলে আলিম ও কালাম, কালিঞ্চি গ্রামে টাইগার গনির ছেলে শাহিন, মজিদ মোল্যার ছেলে এবং ধুমঘাট গ্রামে নাছির পাটোয়ারীর ছেলে মিল্টন পাটোয়ারী ভারত থেকে ফেসসিডিল এবং গরু সহ অন্যান্য সমাজ বিরোধী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সমঞ্জাম পাচার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সমাজ বিরোধী ওই চক্রটি বার বার পাচার কাজে লিপ্ত আছে। অভিযোগ আছে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে।
গত ৭ জুলাই শ্যামনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমান্ত এলাকা হতে ১৩ টি ভারতীয় গরু আটক করে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা করে কিন্তু থেকে নেই পাচারকারী চক্রের অপতৎপরতা। ১৫ দিনের ব্যবধানে ওই চক্রটি আবারো ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় পুলিশ আটক করে। সরকার ভারতীয় গরু আমদানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও ওই পাচারকারি চক্রটি কোন খুটির জোরে ভারত থেকে গরু পাচার করার সাহস পায়। শ্যামনগর বাসী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, সুন্দরবনে বনদস্যু নির্মুলে পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে। তাছাড়া পাচার রোধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
নীলডুমুর ১৭, বিজিবি ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার লেঃ কমান্ডার মিল্টন কবির বলেন, সুন্দরবনে সকল প্রকার পাচার রোধে বিজিবি সচেষ্ট আছে।