আব্রাহাম লিংকন: সাতক্ষীরা রেঞ্চেরপশ্চিম সুন্দরবনে আবারও বনদস্যুদের তান্ডব সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কর্তৃক বনদস্যু নির্মূলে তৎপরতা থাকায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন এতো দিন ধরে ছিল ঠান্ডা। পার্শ্বেখালী গ্রামের জব্বার গাজীর পুত্র আজাদ নতুন দল করে সুন্দরবনে নেমে পড়েছে। গত সপ্তাহে সুন্দরবনে একটি বনদস্যুদের ট্রলার এসে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা উঠাতে দেখে ফেলে জেলেরা। আজাদ নতুন দল সৃষ্টি করে সুন্দরবনে দলের প্রধান আজাদ এখন ব্যপক তান্ডব সৃষ্টি করে চলেছে। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতা হঠাৎ কম দেখার ফলে সুন্দরবনে নেমে পড়েছে নতুন কয়েকটি বনদস্যু বাহিনীর। জেলেরা এখনো পর্যন্ত তাদের নাম না জানলেও শিকার হচ্ছে অপহরনের। সুন্দরবনের সব চেয়ে পুরানো বনদস্যু হিসাবে এখনো পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে জোনাব বাহিনী। এরই মধ্যে কয়েকটি বনদস্যু বাহিনীর নতুন দলের মধ্যে একটি নাম উঠে এসেছে।গত ১ সেপ্টম্বর ২০১৯ তারিখে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের তোরাব সরদারের পুত্র জাকির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাং গ্রামের আব্দুল বারী গাজীর পুত্র মহাসিন গাজী, ঈশ্বারীপুর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক কৈখালী ফরেষ্ট স্টেশন থেকে বৈধ পাশ নিয়ে সুন্দরবনের কালুন্দী নদীর কচুখালী নামক স্থান থেকে ঐ ৩ জেলেকে জিয়া বাহিনী অপহরণ করে। মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীতে আটক রয়েছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জেলারা জানান যে, সুন্দরবনে বনদস্যু হিসাবে জোনাব বাহিনী ছাড়া তেমন আর কোন বাহিনী আমরা দেখতে পেতাম না। কিন্তু হঠাৎ করে আবারও সুন্দরবনে বনদস্যুতা বেড়ে গেছে। মামুন্দো নদীর বড় বৈগীরি, ম্যাটভাঙ্গা, ছোট বৈগীরি, চুনকুঁড়ি ও কালুন্দী নদীর কছুখালী, হোগল ডোগোর, দারগাং স্থানে তারা পায়তারা শুরু করেছে। ভারত সীমান্তে বসে নজর রেখে দ্রুতগতিতে জেলেদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে আবারও দ্রুত চলে যাচ্ছে। তবে জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে চালাচ্ছে চরম অত্যাচার। অর্থে লেনদেনের বিষয়ে সহযোগীতা নিচ্ছে মোবাইল বিকাশ একাউন্টের। একটাই প্রশ্ন জেলেদের মনে গেথে বসেছে যে মোবইল সিম কর্তৃকপক্ষ প্রতিটি সিম রেজিট্রেশনের মাধ্যমে বাজারে ছেড়েছে কিন্তু এই সিমগুলো কিভাবে তারা ব্যবহার করছে ?