আইয়ুব হোসেন রানা: সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ের পল্লী চিকিৎসক আজগার আলী বাবুর অপচিকিৎসা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রয়োগের ফলে মাছুম বেলাল নামে এক রোগীর জীবন এখন হুমকির মুখে। অসুস্থ্য ও আতঙ্কগ্রস্ত মাছুম বেলালকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে শহরের রাজার বাগান ছাকার মোড় এলাকার আক্তার হাজীর ভাড়াটিয়া আব্দুস সালেকের পুত্র।
অসুস্থ্য মাছুম বেলালের মা জানান, গত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) আমার ছেলে মাছুম বেলালের (২৬) সারা দিন ১০/১২ বার পাতলা পায়খানা হয়। রাতে সে দূর্বল হয়ে কিছুটা সঙ্গাহীন হয়ে পড়লে পল্লী চিকিৎসক আজগার আলী বাবুকে ডাকা হয়। গ্রাম ডাক্তার আজগার আলী রাত ১২ টার দিকে এসে তাকে কলেরা স্যালাইন সহ কিছু ইঞ্জেকশান প্রয়োগ করেন। পরে দেখা যায় কলেরা স্যালাইনের মেয়াদ ৩ মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। পর দিন আজগার আলী আবারও তাকে চিকিৎসা দেন এবং কিছু টেস্ট দিয়ে সেগুলো ডা. ফয়সাল আহমেদের হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে করাতে বলেন।
মাছুম বেলালের মা আরও জানান, চিকিৎসক আজগার আলী বাবু চিকিৎসা দিয়ে যাবার পর থেকে তার ছেলের শরীরে অস্থিরতা দেখা দেয়। চোখের সাদা অংশে রক্ত জমাট বাধার মত লালচে দাগ পড়ে যায়। এক পর্যায়ে চোখ আটকে যায় বাসায় ঝোলানো কলেরা স্যালাইনের খালি প্যাকের দিকে। তাতে দেখা যায় ব্যবহৃত স্যালাইনের মেয়াদ জানুয়ারি মাসেই শেষ হয়ে গেছে।
অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মাছুম বেলালকে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী চিকিৎসক আজগার আলী বাবু বলেন, রোজার মাসে রাতে রোগী দেখার সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ভুল হয়েছে, আপনারা আমাকে মাফ করে দেন।
পল্লী চিকিৎসক আজগার আলীর বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, তিনি ছিলেন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ। চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্রোকারি করে নিন্ম মানের ওষুধ আর বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিভিন্ন বাজারের ওষুধের দোকানে সাপ্লাই করতেন। মন্ত্রবলে একসময় নিজেকে পল্লী চিকিৎসক হিসাবে আবিস্কার করেন আজগার আলী । আজগার আলীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে টেস্টের নামে কমিশন বাণিজ্যসহ রয়েছে নানান অভিযোগ যা আগামিতে প্রকাশ করা হবে।