আব্দুর রশিদ: পঁচা আনারসে সয়লাব হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। নিম্নমানের আনারস কিনে দাদন দেয়া ছোটব্যবসায়ীদের গছিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পঁচা ও নিম্নমানের আনারস বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন দাদন নেওয়া ছোট ব্যবসায়ীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা চিত্তর মোড়ে সাতক্ষীরা ফল ভান্ডার নিম্নমানের ও পঁচা আনারস নিয়মিতভাবে আমদানি করছে। আবার সেই আনারস গুলো দেদারছে বিক্রিও করা হচ্ছে ছোট ছোট ব্যাসায়ীদের কাছে। ওই সব ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তারা আগে থেকে দাদন নেওয়ায় পঁচা ও মানহীন বাতির আনারস গছিয়ে দিলেও কিছু করার থাকছে না। কোন সময় কম দামে বিক্রি আবার ফেলেও দিতে হচ্ছে আনরস। ফলে লাভের চেয়ে লোকসান গুনছে এসব ছোট ব্যবসায়ী। এছাড়াও প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাস্কহীন অবস্থা ৭০-৮০জন ভীড় করে কেনাবেচা চলে।
সাতক্ষীরা শহরে বেশ কয়েকজন পাইকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনারস কিনে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। পরে সেগুলো স্থানীয় ছোট ছোট ফল ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করা হয়। সেগুলো পৌছে যায় ক্রেতার পাতে। সব পাইকাররা মোটামুটি ভাল গ্রেডের আনারস আমদানি করলেও সাতক্ষীরা ফল ভান্ডারের মালিক নিম্নমানের আনারস আমদানি করে। সেগুলোর মধ্যে পঁচা আনারসও থাকে। যা প্রতিষ্ঠানটি গছিয়ে দেয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
তবে এ বাতিল ও পঁচা আনারস খেয়ে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকাই বেশি।