
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী আজাদসহ ৩ জন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সংবাদ ও তার কুকর্ম ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তাছাড়া ও শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় দৈনিক সাতনদী পত্রিকা। মুহুর্তের মধ্যে সংকট দেখা দেয় বাজারে পত্রিকার। সারদিন ঘুরে বেড়িয়েছে বিভিন্ন মানুষ দৈনিক সাতনদী পত্রিকার একটি কপি সংগ্রহের জন্য।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদর উপজেলা গোবিন্দকাটি গ্রামে থেকে সদর থানার এসআই জিয়া ও এএসআই মোস্তফাসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজাদ হোসেন, বাপ্পি হোসেন ও মতি’কে আটক করে। এ সংক্রান্ত তথ্য সংবাদ প্রকাশের পর ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমে পড়েছে তদন্তের জন্য। শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারি আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর আটকের জন্য। এতদিন যারা আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে তার নামে কথা বলতে সাহস পেতনা তারাও মুখ খুলতে শুরু করেছে। তাছাড়াও আজাদের রয়েছে একটি শক্তিশালী কিশোর গ্যাং। যে গ্যাং বাহিনী দিয়ে সকল অপকর্ম চালাতো দিনে ও রাতের আধারে। সেই বাহিনীর বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার নির্যাতিত সাধারণ মানুষ। দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় তার আটক হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ঝাউডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসীরা বলেন, আজাদ একজন অশিক্ষিত লোক হয়েও কিভাবে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছে। কোথা থেকে পায় এত ক্ষমতা। কোথায় তার এত পরিমান কালো টাকার উৎস। তার কর্মটা কি? কিভাবে সে একজন ভারতীয় লবণ বিক্রেতা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তার এত টাকার উৎসটা কোথায়? দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় তার জীবনের কুকীর্তির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকার মানুষ। এতদিন যারা ভয় মুখ খুলতে সাহস পেত না তারাই আজাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আজাদের দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তি হয়। তাছাড়া অতিসম্প্রতি আজাদ ও তার বাহিনী ঝাউডাঙ্গার একটি রাইস মিল ও ঔষধের দোকানে হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে লোক তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত স‚ত্রে জানা গেছে, আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে রক্ষা করার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির ও দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।
ঝাউডাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের দাবি তাকে কঠিন শান্তি দেওয়া হোক যাতে আজাদের মতো আর কেউ যেন এলাকায় অত্যাচার করতে সাহস না পায়।