ন্যাড়া হওয়ার হিড়িক পড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন ওঠেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সঙ্গে কি এর কোনো সম্পর্ক আছে? এ নিয়ে কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাথার চুল কামানোর কোনো যোগসূত্র নেই। অর্থাৎ মাথা ন্যাড়া করলেই করোনা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এমন কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেননি।
চারদেয়ালে বন্দি হয়ে থাকা নগরজীবনে শ্বাসরুদ্ধকর এই পরিস্থিতিতে ন্যাড়া হওয়ার হুজুগে মেতে ওঠার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? ফেসবুকে ন্যাড়া মাথার ছবি পোস্ট করে অনেকে মজার মজার ক্যাপশনও দিচ্ছেন।
ফেসবুকে রাসেল মাহবুব নামের একতরুণ একটি মজার ছবি পোস্ট করেছেন। একদল ন্যাড়া মাথার লোক অন্য একজন লোককে ঘিরে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা- নোয়াখালীর বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করলেন মাথা ন্যাড়া করলে করোনার জীবানু ধারে কাছে আসে না!
কাজী নাজিব-উল-মুবারক নামে একজন তার ন্যাড়া মাথার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, সেলুন বন্ধ তাই ন্যাড়া হওয়া সহজ। এই আকালের সময় পয়সাও বাঁচলো, চান্দিতে কড়কড়ে রৌদ্রে বডি (শরীর) সৌরশক্তি ভরপুর হবে। তাতে করোনা পালিয়ে যাবে।
বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাসরিন ওয়াদুদ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ২৬ মার্চ থেকে লোকজন ঘরে আছেন। এতে অনেকের মধ্যে তৈরি হয়েছে একঘেয়ামি ও অবসাদ। এ থেকে মুক্তির পাওয়ার একটি কৌশল হতে পারে মাথা ন্যাড়া করা। নিজের পাল্টানো চেহারা দেখেই হয়তো অনেকে অবসাদ দূর করতে চাইছেন।
পূর্বপশ্চিম