আব্দুর রহমান: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ২ আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী না থাকায় ভোটের মাঠের চিত্র পাল্টে গেছে। শুরুর দিকে লাঙ্গলের জোয়ার দেখা গেলেও দিনে দিনে ঈগলের সমর্থন বাড়ছে। পাশাপাশি ঈগল ও লাঙ্গল’র প্রচারণা ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে এবার ঈগলের সঙ্গে লাঙ্গলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাতক্ষীরা ২ সংসদীয় আসনের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে সাধারণ ভোটার, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ভোটের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা গেছে, আসন সমন্বয়ের কারণে আওয়ামী লীগ যে ২৬টি আসন শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় এর মধ্যে একটি হলো সাতক্ষীরা ২ আসন। এখানে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু। দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকা প্রতীকে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি। এই আসনে নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের দুই অংশ। ইতোমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিল করে তাদের স্ব-স্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ঈগল প্রতীকের সাথে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মনে মনে করছেন অনেকেই। তবে, সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোটাধিকার প্রয়োগের আগ্রহ অনেক কম। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি টানা দুবার এ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং নতুন মুখ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশুকে অনেকেই চেনেন না। আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতা-কর্মীরাও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কোন বাধাও নেই। সে হিসেবে সাতক্ষীরা সদর আসনেও বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এ আসনে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী না থাকায় আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বর্তমান এমপি রবির ঈগল প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছি। ভোটারদের কেন্দ্রে আনার প্রতি জোর দিচ্ছি।’