মন্দিরা দাসের বাবা বাসুদেব দাস বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে স্থানীয় একই এলাকার রতন বসুর ছেলে দীপ্ত অপু আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বহুবার কথা বলেছি। পরে কিছুদিন উত্তক্ত না করলেও গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২০ জুন সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে এক পর্যায়ে ট্রাইবুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। আদালতের নির্দেশে চার জুলাই সদর থানা মামলা নেয়। তবে এখনো পর্যন্ত আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মন্দিরার মা বিশিখা রানী দাশ অভিযোগ করেন, আমরা প্রশাসনের অনেক জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। আমরা জানি না, সে আদৌ জীবিত আছে কি না।
তিনি আরও বলেন, মামলার একজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় তিনি ক্ষুব্ধ ও হতাশ। মন্দিরার পরিবার এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহিল আরিফ নিশাত জানান, বর্তমানে কাজের অনেক চাপ। তবুও মন্দিরা দাশের উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।