আহাদুর রহমান জনি: বল্লী ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের আলোচিত নায়েব মহসিন আলী ও অফিস সহায়ক ইকবাল হোসেন জুয়েলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের শুনানী আজ বেলা ১১টায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নেছার আলী কর্তৃক ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে শুনানী হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নেছার আলী’র অভিযোগে সূত্রে প্রকাশ থাকে যে, ‘তিনি রায়পুর দারুল উলুম বালক-বালিকা মাদরাসা ও এতিম খানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। কুশোডাঙ্গা গ্রামের রিজিয়া খাতুন তারি নিজ স্বত্ত¡দখলীয় ৯ শতক জমি প্রতিষ্ঠানটিতে দান করার জন্য ওই জমি রেজিষ্ট্রি করতে খাজনার দাখিলা প্রয়োজন। সে জন্য তিনিসহ তার মাদ্রাসার হাফেজ মোঃ ফারুক হোসেন ও আমার গ্রামের রফিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন গত ৬জুলাই তারিখে ওই জমির খাজনা পরিশোধের জন্য বল্লী ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে গেলে দায়িত্বরত ভ‚মি সহকারি কর্মকর্তা মহাসিন ওই ৯ শতক জমির খাজনা নেওয়ার কথা বললে নায়েব তার কাছে ১হাজার টাকা দাবী করে। আমি তাকে দাবীকৃত টাকা দেয়ার পর তিনি আমাকে ১৮৬টাকার চেক ধরিয়ে দেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেয়ার পরও আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮১৪টাকা ঘুষ বাবদ আদায় করেন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘গত ৩আগস্ট তারিখে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে তিনটি চেকে ৭,২৫৮টাকা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ১২৭৪২টাকা আদায় করে নায়েব। এছাড়াও গত ৮ সেপ্টেম্বর তার গ্রামের ভ্যান চালক সামছুর রহমানের কাছ থেকে তার জমির জন্য খাজনা আদায় করেছে ৪৮৮টাকা। কিন্তু অতিরিক্ত আরও দেড় হাজার টাকা দিতে হয় নায়েবকে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বল্লী ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ মহসিন জানান, ‘আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাইনা। যা বলার তা শুনানীর সময়ই বলবো।’
অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নেছার আলী জানান, ‘রবিবার এ বিষয়ে শুনানী হবে। নানা অভিযোগের পরও তার বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি হতাশ। সে বুক ফুলিয়ে বেড়াচ্ছে। সঠিক বিচার নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান।’