
নিজস্ব প্রতিনিধি: নাশকতা মামলার চার্জশীট ভ‚ক্ত আসামী এখন শ্রমিকলীগের সভাপতি। মহা দাপটে এই শ্রমিক নেতার নাম গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্ত। সে সদর উপজেলার ঝাউডঙ্গা এলাকার মৃত সোবাহান আলী সরদারের ছেলে।
এলাকাবাসি জানায়, গত ২০১৩ সালের সহিংসতায় নেতৃত্বদানকারী মোস্তর অত্যাচারে এলাকার আ.লীগের নেতা কর্মীরা বাড়িতে ঘুমানে পারেনি। গাছকাটা, রাস্তাকাটা, অগ্নিসংযোগ, সরকার উৎখাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এই নেতা। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা। মহা দাপুটে এই নেতার স্ত্রীও ইউনিয়ন জামায়াতের রুকন।
অতি সম্প্রতি তিনি ক্ষমতাসীন দলের তৃতীয় সারির কয়েক নেতাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে আ.লীগে যোগদান করেন। মূলদলে পদ পদবির জয়গা ফাকা না থাকায় সে কৌশলে অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ফাকা জায়গা খুঁজতে থাকে। টাকা খরচের অংক একটু বাড়িয়ে সে ঢুকে পড়ে শ্রমিকলীগে। রাতারাতি পদ পদবিও বাগিয়ে নেয়। এখন তার দাপটে ত্যাগী আ.লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে মহা দাপুটে এই নব্য আওয়ামীলীগ নেতার বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী এই গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তর নামে নাশকতার মামলা হয়। সদর থানার এস আই গোলাম সরোয়ার বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা (নং-৬৭) দায়ের করেন। এছাড়া তার নামে আরও নশকতা সৃষ্টির অপরাধ রয়েছে। এস আই গোলাম সরোয়ারের মামলায় গত ১৬ সালের ৫ মে আদালতে চার্জশীটও হয়। স্ত্রী সুকচান বিবিরি নামে রয়েছে ৫টি মামলা । তিনি বর্তমানে সংগঠনের কাজ করছে।
একাধিক মামলার এই ভয়ংকর আসামী এখন শ্রমিক লীগের সভাপতি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, সে জামায়াত নেতা এটা তাদের জানা ছিলো না। খোজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।