হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কালিগঞ্জের যুবকের মৃত্যু নিয়ে এলকাবাসীর ধারনা করোনা উপসর্গের তথ্য গোপন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলকায় আতংক বিরাজ করায় ৬টি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৬ টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ঐ যুবকের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুবরণকারি যুবকের নাম হারুন-অর-রশিদ ওরফে সুমন (২৬)। সে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কামারগাতী গ্রামের ছবেদ আলী সরদারের পুত্র। তার স্বজনরা জানায় গত ৫/৬ দিন আগে ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে স্ত্রী সহ ৫/৬ জনকে সাথে করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে বাড়ীতে ফিরে আসলে তাকে কামারগাতী ছোট মিয়া পীরের রওজা শরীফের একটি ঘরে হোম কোয়ারেন্টইনে রাখা হয়। হারুন ঢাকা নারায়নগঞ্জে যে মালিকের দোকানে সেল্স ম্যান হিসাবে কাজ করত সে মালিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হারুন জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় ভুগতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক দেখানোর পর রাতে তাকে শ্যামনগর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওযায় রাত ৩ টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে সে মারা যায়।
সাতক্ষীরা সির্ভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান ঐ যুবক এবং তার আতœীয়, পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করে মিথ্যা বলেছে যে টা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। সত্য ঘটনা বললে তাকে আমরা ভেডিকেডেট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে পারতাম। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক এবং নার্সদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানে হয়েছে। মৃত্যুর পর দুপুর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার বাড়ীতে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন হয়।
কালিগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান বলেন, আমরা কামারগাতীর ছোট মিয়া পীরের রওজা শরীফের পাশে ৬টি বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান জি, এম শওকত হোসেন লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা অবস্থায় তাকে প্রথমে শ্যামনগর পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।