মসজিদের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার। মসজিদের প্রথম কাতারে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বসবেন বলে ও্ই নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তবে ওই দিনই নোটিশটি তুলেও ফেলা হয়। এ নিয়ে আজ রবিবার এক বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং মসজিদ কমিটির সেক্রেটারিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।ঘটনাটি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের।
গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে একটি নোটিশ টানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নামাজের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে । পাঁচ ওয়াক্ত এবং জুমার নামাজ চিহ্নিত জায়গার বাহিরে পড়া যাবে না এবং জামাত দাঁড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত অফিসারগণের সম্মানে সামনের কাতারে না দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। জামাত দাঁড়ানোর সময় সামনের চিহ্নিত খালি জায়গা পূরণ করে দাঁড়াবেন। মসজিদের বাহিরে/রাস্তায় মসজিদের কার্পেট বিছানো হবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
নোটিশটি টাঙানোর পর থেকে মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়। পরে নোটিশটি তুলে ফেলা হয়।
উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ রেজাউল করিম জানান, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি গত বৃহস্পতিবার নোটিশটি টানান। এ নিয়ে সমালোচনা হলে ওই দিনই নোটিশটি তুলেও ফেলা হয়। পরে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এ ব্যাপারে মিটিং হয়। সেখানে ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আল আমিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, আমাকে না জানিয়ে নোটিশ টাঙানো হয়েছিল। পরে জানতে পেরে সেটি তুলে নেওয়া হয়েছে। রবিবার এক জরুরি সভায় সেক্রেটারিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সূত্র: কালের কন্ঠ