আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের প্রহারে নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাসের মৃত্যুর পর লাশ নিয়ে মিছিল করে বিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে শ্রেণিকক্ষ ভাংচুর, শিক্ষকদের কক্ষ, আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২১জন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) আসামিরা সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে হাজির হলে বিচারক রাকিবুল ইসলাম উভয়পক্ষের শুনানী শেষে তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, হিজলা গ্রামের ইউনুস গাজী, সামছুর বিশ্বাস, সাগর বিশ্বাস, জিয়ারুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, নাঈম, আনারুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, মুকুল বিশ্বাস, হান্নান গাজী, সেলিম, রবিউল গাজী, খায়রুল রওশন, মামুন গাজী, আব্দুল খালেক, নলতা হাটখোলা গ্রামের শ্রীবাস, নলতা গ্রামের জাহিদ হোসেন, একই গ্রামের নলতা চৌমুহুনীর ফরহাদ, চালিতা বাড়িয়ার স্কুলছাত্র কামরুল ইসলাম, নলতা চৌমুহুনীর মেহেরাব হোসেন ও নলতা গ্রামের বিশ্বনাথ দাসের ছেলে নিত্য দাস ওরফে মেছো কার্তিক। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. আব্দুল মজিদ (২) ও এড. আজাদ হোসেন। সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২১ জন জামিন পাওয়ার বিষয়টি দৈনিক ‘সাতনদী’কে নিশ্চিত করেছেন। বলাই বাহুল্য যে, অভিভাবক সদস্য ইন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুর জব্বার বাদি হয়ে ৪০ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে ২৯ জুলাই থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাস শিক্ষকদের প্রহারে মারা গেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় তার লাশ নিয়ে মিছিল করে প্রধান শিক্ষকসহ ১১জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে হামলাকারিরা। পুলিশের উপস্থিতিতে চালানো ভাংচুর ও মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ অবরুদ্ধ শিক্ষকদের পুলিশ ভ্যানে করে সদর থানায় নিয়ে আসে। পরে মৃতের বাবার দায়েরকৃত মামলায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুহিত, সহকারি শিক্ষক অবকাশ কুমার খাঁ ও সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৭ জুলাই বিকেলে জেলে পাঠানো হয়।
নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ২১ জনের জামিন
পূর্ববর্তী পোস্ট