তরিকুল ইসলাম: কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার বিলকাজলা গ্রামের মৃত বদিউল্যা গাজীর পুত্র বিএনপি নেতা নজরুলের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এলাকায় কারোর জমির দলিলে ক্ষুদ পরিমাণ সমস্যার খবর পেলে ভূয়া দলিলপত্র বানিয়ে তারালী কাজী আলাউদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) শাখার প্রভাষক ও বিএনপি নজরুল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু ব্যক্তিদের ভাড়ায় চুক্তি নিয়ে লুটপাট ও দখল করে নিচ্ছে সেসব সম্পত্তি। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলাই যেন কাল হয়ে দাড়ালো একটি পরিবারের। মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১ ডিসেম্বর রাতে বিলকাজলা গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে রবিন্দ্রনাথ সরকারের পাকা বসতভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (চিংড়ী পোনা নার্সিংপয়েন্ট) ভাংচুর করে দখল করে নিয়েছে নজরুল ও তার বাহিনী। এসময় রবিন্দ্রনাথ সরকার সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিতে গেলে তারা রবিন্দ্রনাথের পরিবারের উপর আক্রমন করতে উদ্ধৃত হয় এবং জমি যায়গা ছেড়ে খুব দ্রুত পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে হুমকি প্রদান করে। দেশ না ছাড়লে মিথ্যা মামলা ও হামলা করিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করবেন বলে হুমকি দেন। এছাড়া ভাঙচুর করার সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা নগদ অর্থ নিয়ে যায়। রবিন্দ্রনাথ সরকার এই প্রতিবেদককে জানান, আমার বসত ভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে আমাকে বিতাড়িত করে পথে বসিয়েছে। আমি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার কামনা করছি। বিলকাজলা গ্রামের আব্দুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, নজরুল জাল দলিল বানিয়ে তার বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিতেও দখলের চেষ্টা করেছিলো কিন্তু আমাদের সাথে টিকে থাকতে পারেনি। একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, নজরুল তার বাহিনী নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নামধারী কিছু লোকদের টাকার বিনিময়ে সাথে রাখছে। নজরুল এই এলাকা থেকে লোকজন ভাড়া করে ঢাকায় বিএনপির মিছিলে লোকজন পাঠায়। তার বিরুদ্ধে নাশকতার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগও তিনি করেন। এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।