প্রধান প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার খুচরা বাজারগুলোতে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে। আর পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। দেশী পেয়াজ বাজারে না আসলে অথবা ভারত থেকে পেয়াজ আমদানী না হলে পেয়াজের বর্তমান মূল্য কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরায় পেয়াজের বড় মোকাম শহরের সুলতানপুর বড়বাজার। শনিবার সকাল ৯-১০ টা পর্যন্ত বড়বাজার ঘুরে দেখা যায় খুচরা বাজারে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। এছাড়া পেয়াজের সরবরাহ অনেকটা কম লক্ষ্য করা যায়।
বড় বাজারের পাইকারি পেয়াজ ব্যবসায়ী মেসার্স সাকিব এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ কামরুজ্জামান। তার দোকানেই সব থেকে বেশী পেয়াজ রয়েছে, ২০-৩০ বস্তা পেয়াজ।
ব্যবসায়ী শেখ কামরুজ্জামান জানান, গতকাল টিটাগাং থেকে পেয়াজ এনেছি। ক্রয় করা পড়েছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকায়। বিক্রি করছি ২১০-২২০ টাকায়। বাজারে পেয়াজের সরবরাহ খুবই কম। একদিকে ক্রয়ের দাম বেশী অন্যদিকে, কম দামে বিক্রি করার প্রশাসনিক চাপের কারণে ব্যবসায়ীরা পেয়াজ আমদানি কম করে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বেশী দামে ক্রয় করে কম দামে বিক্রি করবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে পেয়াজের বাজারমূল্য কম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। নতুন পেয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলেও দাম কমে যাবে। এছাড়া পেয়াজের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, বড়বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আমির আলী জানান, শুক্রবার প্রতিকেজি পেয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আজ (শনিবার) ২৪০ টাকায় বিক্রি করছি।
বড়বাজারের ক্রেতা জাহিরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও যে পেয়াজ প্রতিকেজি ২০-২২ টাকায় ক্রয় করেছি সেই একই পেয়াজ বর্তমানে ক্রয় করতে হচ্ছে ২৩০-৪০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে পেয়াজের মূল্য। এভাবে কতদিন চলবে তার কোন নিদৃষ্ট দিনক্ষণ নেই। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছি বিপাকে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের সিএণ্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, গত এক মাস ১৮ দিন যাবৎ ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভারত সরকার পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ ঘোষনার পর থেকেই বাংলাদেশের পেয়াজ বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করে। বর্তমানে চড়া মূল্যে পেয়াজ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই। আমদানি শুরু না হলে পেয়াজের দাম আর কমবে না।