নড়াইাল সংবাদদাতা:
নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৯ মার্চ) নড়াইল সদরের পায়েকমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকেলে দিকে হঠাৎ করে শ্বশুর-শাশুড়ি-স্বামী মিলে গৃহবধূকে জানোয়ারের মত পিটাতে থাকে, ভুক্তভোগীর চিৎকার চেচামেচি শুনে গুরুতর আহত বেহুশ অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উদ্ধারকারী আনোয়ার,জাহাঙ্গীর,জাবের আলী জানান, চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘটনা স্থলে যেয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিস প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে দেখা যায় আঘাতের কারণে কেমর ও বাম হাতের হাড় ফেটে গেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে সদর উপজেলার পায়েকমারি গ্রামের মালিক মোল্যার ছেলে নূর আলমের সঙ্গে একই গ্রামের আবু হানিফ মোল্যার মেয়ে মিতু খানমের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী নূর আলম ও তার পরিবার নানা ভাবে চাপ দিয়ে ব্যবসার কথা বলে মেয়ের বাবার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মেয়ের বাবা বিদেশ থাকায় সুবাদে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামায়ের সকল আবদার পুরণ করেন। বর্তমানে তিনি দেশে থাকায় জামায়ের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় মেয়ের ওপর নির্যাতনে মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে।
ভুক্তোভোগী মিতু খানম জানান, আমার একটা ছেলে ও একটা মেয়ে আছে, ১৬ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। প্রতিনিয়ত নানা অজুহাতে শ্বশুর-শাশুড়ি মারধোর করে টাকা পয়সা চাই। কিছুদিন আগেও আমার বাবার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা এনে মটরসাইকেল কিনে দিয়েছি। কিছুদিন যেতেনাযেতে আবারো টাকার দাবী করে, টাকা দিতে নাচাইলেই মারধোর শুরু করে। গতকাল বিকেলে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাশের লাঠি দিয়ে মারতে থাকে একপর্যায়ে বেহুশ হয়ে পড়ি। পরে জানতে পারি প্রতিবেশীরা উদ্ধার হাসপাতালে নিযে ভর্তি করেছে।
প্রতিকার চেয়ে মেয়ের বাবা আবু হানিফ নড়াইল সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ভুক্তোভোগীর স্বামী নুর আলমের ০১৯০২৮৬৮৭৫৭ নাম্বারে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।