শেখ বাদশা, আশাশুনি থেকে: আগামী ৫ জানুয়ারী-২০২২ পঞ্চম ধাপে আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত নিকটে আসছে তত বাড়ছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী এলাকাজুড়ে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার ছেয়ে গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আচরণ বিধিমালা। এমনকি বিধি নিষেধ প্রয়োগে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি। আশাশুনি সদর, কুল্যা, বুধহাটা ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেক রাত পর্যন্ত চলছে নির্বাচনী প্রচারণা।
নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত দেয়ালে লাগানো যাবে না। কিন্তু সেটা কেউই মানছেন না। বিভিন্ন ঘরের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি, শৌচাগার, গাছে গাছে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। এতে বাদ যায়নি স্কুলের দেয়ালও।
এসকল এলাকায় পোস্টার লাগানো কয়েক জনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সব জায়গাতেই আমাদের পোস্টার লাগাতে বলা হয়েছে। এজন্য গাছে গাছে, দেয়ালে, চায়ের দোকানে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এ সকল প্রার্থীরা প্রতিদ্ব›দ্বীতার সাথে সাথে একজোট হয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনেরও প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এবিষয়ে একাধিক ইউপি সদস্য পদ প্রার্থী বলেন, আমরা তো ছোট আকারে নির্বাচন করছি। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দেখেই আমরা দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছি।
একই সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটাররা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। এবার ভোটের দিন মারামারি হতে পারে। তবে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলে অবশ্যই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন বলে জানান সাধারণ ভোটাররা।
নির্বাচনী আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা বাসীকে জানান, আশাশুনিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য বিশেষ ভাবে আহবান করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুজ্জামান সিকদার। তবে এখনও পর্যন্ত কোন প্রার্থী তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন খান বলেন, প্রার্থীরা যাতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করতে না পারে, সে ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।