সাতক্ষীরায় জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি এমপি রবি......
আব্দুর রশিদ: জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গ ভবনে থাকলেও কখন কোথায় দুর্যোগে অসহায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে তাদের কথা ভেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে শ্রমিকদের অনেক অবদান রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও সফলতার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলে বলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুৃক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় শ্রমিক লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভ সূচনা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু’র সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের নিজস্ব অর্থায়ণে পদ্মাসেতু তৈরী করেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌছাতে পেরেছেন। এসময় উপস্থিত সকলের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন এই আন্দোলন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ে জন্য। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল নেতা-কর্মীদেরকে নৌকার পক্ষে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই আজকের সভায় আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ শ্রমিক লীগ আওয়ামী লীগের একটি ঐতিহ্যবাহী সহযোগী সংগঠন। আজকে শ্রমিক লীগ আমাদের একটি সহযোগী সংগঠন। আপনারা আমাদের সাথে কাঁধে কঁধে মিলিয়ে কাজ করে আসছেন। আগামীতেও আমাদের পাশে থেকে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করবেন। আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিক লীগের ভ‚মিকা অত‚লনীয়। শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ‘কোন রকম দলীয় কোন্দলে না যেয়ে সাতক্ষীরা সদরের ১৪টি ইউনিয়নের নৌকার মাঝিদের জয়লাভে ভ‚মিকা রাখতে হবে। ’
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু তার বক্তব্যে বলেন, ‘জেলা শ্রমিক লীগ অনেক শক্তিশালী একটি সংগঠন। বিগত আমলে আন্দোলন সংগ্রামে আমার শ্রমিক ভাইরা জামায়াত-বিএনপির তান্ডব থেকে সাতক্ষীরা শহরকে সুরক্ষিত করে রেখেছেন।’
সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, ‘আমি শ্রমিক লীগে থাকা কালীন কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। কোন দুর্নীতির সাথেও আমি জড়িত নই। আমার নিজের জন্য থাকার একটি ঘরও নেই। আমার কোন শ্রমিক ভাইদের দুর্নীতিতে জড়াতে দেই নি। দূর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকেছি। তাদের দেখভাল করেছি। আপনারা নৌকার মাঝিদের সহায়তা করুন। তার ব্যত্যয় ঘটলে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন দলের লোক নৌকার বাইরে যাওয়া যাবে না।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. জোহর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী, সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব জাহিদ খান, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ ১১৫৯) এর সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুনছুর আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শফি উদ্দিন শফি, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, পৌর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আশরাদ আলী খোকা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম রবি, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ ১১৫৫) এর সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম গাজী, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ ১১৫৯) এর সভাপতি এরশাদ আলী প্রমুখ। এ সময় জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বেসিক সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাঙ্গীর হোসেন শাহীন।