
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নারীলোভী-মাদকসেবী সাইফুর রহমান সুমনের অন্যতম সহযোগী সরকারি কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী সজীব সহ ৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদক পাচারকালে খুলনার খালিশপুর থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খালিশপুর থানার ওসি জানান, আবু নাসের হাসপাতাল এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন সরকারী কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি উত্তর পারুলিয়া সেকেন্দ্রা গ্রামের আহাদ আলী গাজীর ছেলে সজীব হোসেন, একই এলাকার মজিদ গাইনের ছেলে ও কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক মাসুদ রানা এবং আব্দুল গফুরের ছেলে ছাত্রলীগ সদস্য মাহাবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, এলাকায় দেবহাটা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের বিরুদ্ধে ফেন্সিডিল সেবনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নারীদের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। এমন কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ফেন্সিডিল সেবনের ছবি সাতনদীর অফিসে এসেছে। অবৈধ পন্থায় দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েই সাইফুর রহমান সুমন পর ধীরে ধীরে উপজেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের আনেন কমিটিতে। সেই সুত্র ধরেই মাদক ব্যবসায়ী সজীব হোসেনকে কিছুদিন আগে কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেয়ে মরিয়া হয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে আনা মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় ঐ চক্রের সদস্যরা।
এছাড়া ছাত্রলীগের সভাপতির পিতা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন মালামাল ও অর্থ অবৈধ পথে আদান-প্রদান করে থাকেন। সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের একটি চিংড়ি পোনা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে ভারতীয় পোনা এনে সরবারহ করা সহ উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাদক সেবন করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী গডফাদারের নাম সহ বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য।
এদিকে সরকারি কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাদক ব্যবসায়ী সজীব সহ ৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় এদের অন্যতম সহযোগী ও মদদদাতা দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দেবহাটা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমনের সাথে মোবাইলে কথা হলে জানান, আমি একটি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেই সুবাদে বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক থাকাটা স্বাভাবিক। মাদক সেবন ও নারীদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তার নয় বলে দাবী করেন। এছাড়া সুমন আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা জেলা প্রশাসনের কোথাও আমার পিতার নামে হুন্ডি ব্যবসায়ীর তালিকা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।