
নিজস্ব প্রতিবেদক, দেবহাটা: দেবহাটার সখিপুর মোড়স্থ সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের মৎস্য খামার সংলগ্ন সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সরকারী এক চাকরি জীবি ও তার পিতার বিরুদ্ধে। তারা সখিপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম কারিগর ও তার পুত্র জাফিরুল ইসলাম(লিটু)।
জানাযায়, উপজেলার সখিপুর মোড়স্থা মৎস্য খামারের প্রবেশ মুখে ৪/৫ শতাংশের মত একটি খালি জায়গা বেশ কিছুদিন যাবৎ নজরে পড়ে সখিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও তার পুত্র সরকারী চাকরিজীবি জাফিরুল ইসলামের। শুরু করে দেয় বালি ভরাটসহ দখলের কাজ। কয়েকদিন আগে হটাৎ সেখানে দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে স্থানীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছে ঘর নির্মান কাজ বন্ধসহ প‚নরায় ঘর নির্মাণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ দেন। তার কিছু দিন যেতে না যেতেই সরকারী নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে প‚নারায় ঐ স্থাানে টিনশেডের ঘর নির্মাণ করে জায়গাটি দখল করে নেয় তারা।
শনিবার প‚নরায় অসমাপ্ত কাজ করতে গেলে স্থানীয়রা সড়ক ও জনপদ বিভাগে খবর দেয়। খবর পেয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সুপার ভাইজার আসাদুর রহমান রন্টু ঘটনাস্থলে আসেন। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে তাদেরকে বার বার নিষেধ করার পরেও কোন কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তারা। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সুপার ভাইজার আসাদুর রহমান রন্টু বিষয়টি উপ-সহকারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমানের কাছে জানায়। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমান দখলকারীদের সাথে কথা বললে তারা কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ঘর ভেঙে নেবে বলে জানায়।
এবিষয়ে দখল কারী জাফিরুল ইসলাম লিটুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হামিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অবৈধ ভাবে দখল হওয়া জায়গা থেকে দখল কারীরা নিজেরা ঘর ভেঙে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। ভেঙে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।