
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে আদায়ের উদ্দেশ্যে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিবাহের নাটক সাজিয়ে ছলনাময়ী নারী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সেনাসদস্য সন্তানকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে দেবহাটার গুরুগ্রামের মৃত বীর মুক্তিযাদ্ধা ইমদাদুল হকের স্ত্রী মাফুজা খাতুন এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন হতভাগা স্বামী হারা সন্তানের মাতা। স্বামীর মৃত্যুর পর অতিকষ্টে ২কন্যা ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে জীবন যাপন করছিলাম। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে আমার একমাত্র ছেলে রোকনুজ্জামান রনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি পায়। সে বর্তমানে যশোর ক্যান্টনমেন্টে আছে। ছেলের চাকুরি হওয়ার পর আমাদের পরিবারে কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। কিন্তু গত ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা আদালত থেকে একটি নোটিশ আসে এবং আমি জানতে পারি আদালতে আমার এবং আমার ছেলে রোকনুজ্জামান রনির নামে যৌতুকের মামলা হয়েছে। এখবরে আমি এবং আমার পুত্র রনি রীতিমত হতবাক হয়ে পড়ি। কারণ আমার ছেলে তো বিবাহই করেনি তাহলে কিভাবে যৌতুকের মামলা হলো। পরবর্তীতে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি মাঝপারুলিয়া এলাকার আরশাদ আলীর কন্যা অর্থলোভী প্রতারক ফারজানা আক্তার আমার পুত্রের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার কাজী আমিনুল ইসলাম বকুল যোগসাজসে আমার পুত্রের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে জাল কাবিননামা ও এফিডেভিট তৈরি করে। ওই জাল কাবিননামা দিয়ে আমার পুত্রের কাছ থেকে ৩লক্ষাধিক টাকা দাবি করে। কিন্তু আমার পুত্র ওই অর্থলোভী প্রতারক ফারজানার দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় সে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ফারজানা তার সাথে সংসার করা এবং মটরসাইকেল যৌতুকের যে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। কারণ আমার পুত্র তো বিবাহই করেনি তাহলে কিভাবে তার সাথে সংসার করলো, তার কাছে যৌতুক দাবি করলো-? ফারজানার তার অভিযোগ প্রমাণে পুরোপুরি অক্ষম। তার উত্থাপিত এফিডেভিটের এড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম প্রত্যয়ন দিয়ে প্রমান করেছেন যে, বিবাহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, স্বাক্ষীর স্বাক্ষর জ¦াল। এছাড়া ইতোপূর্বে ওই অভিযোগ নিয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্টে মেজর সাহেবের কাছে নালিশ দিলে মেজর সাহেব দীর্ঘ শুনানী করলেও তাদের বিবাহ প্রমান করাতে পারেনি ফারজানা। এরপর অর্থলোভী ফারজানা প্রস্তাব দিচ্ছে তাকে দেন মোহর বাবদ ৩লক্ষ টাকা পরিশোধ করলে মামলা তুলে নেবো। তা না হলে আমার পুত্রে চাকুরি খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ০৩.০৮.২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে সাংবাদিকসম্মেলন করে। তিনি ওই প্রতারক দুশ্চরিত্র নারী কর্তৃক মিথ্যা মামলায় হয়রানী থেকে তার পুত্রকে রক্ষা এবং পারিবারের সম্মান রক্ষার দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।