
মোমিনুর রহমান, দেবহাটা: দেবহাটায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ৩১৭ বস্তা বাজেয়াপ্ত চাল জব্দ করেছেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন। চারটি ট্রলি বোঝাই খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারী বস্তাভর্তি ও বাজেয়াপ্ত ৩১৭ বস্তা চাল পুনরায় গ্রাহকদের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রসেসিংয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় দেবহাটার সখিপুর লাইট হাউজ সংলঘ্ন সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়ক থেকে চালগুলো জব্দ করেন তিনি। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারামতে প্রতিশ্রুত পন্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার দন্ড হিসেবে চালের মালিক কালীগঞ্জ উপজেলার পুর্ব নলতা গ্রামের আব্দুল্যাহ খানের ছেলে শহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে জব্দকৃত ৩১৭ বস্তা বাজেয়াপ্ত চাল কালীগঞ্জে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি চালগুলো মৎস্য কিংবা পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন তিনি। পরে দেবহাটা উপজেলা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরকৃত বস্তায় কালীগঞ্জ উপজেলাতে চাল সরবরাহ ও মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির তথ্যের ভিত্তিতে সখিপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী জোহর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেনের গোডাউনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন। এসময় দেবহাটা উপজেলা থেকে যোগসাজোসে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহরকৃত বস্তায় কালীগঞ্জ উপজেলাতে চাল সরবরাহ ও মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ অনুযায়ী দেবহাটার মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ী জোহর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও কালীগঞ্জের অপর চাল ব্যবসায়ী শওকাত হোসেনের লাইসেন্স বাতিলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দেবহাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনিরুজ্জামান ও পারুলিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ দাশকে নির্দেশনা দেন তিনি। এব্যপারে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে এক চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা এবং অপর দুই চাল ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।