লিটন ঘোষ বাপি: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস কেড়ে নেবে আর কত প্রাণ? তার হিসেব মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো জানা নেই। আর আসা যাওয়ার মিছিলে এরইমধ্যে যোগ হলো রিনা পারভীন (৩৬) নামক আরো এক নারীর তরতাজা প্রাণ।

তিনি দেবহাটা উপজেলাধীন নওয়াপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল গফুরের সেজ কন্যা ও একই গ্রামের বাসিন্দা উপসচিব আলমগীর হোসেন এর আপন চাচাতো ভাই মুকুল মোল্লার স্ত্রী।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ি, শ্বাসকষ্ট সহ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল গফুরের বড় কন্যা ও নলতার মাঘুরালী গ্রামের আজহারুল হক সরদারের স্ত্রী মমতাজ পারভীন, সেজ কন্যা ও নওয়াপাড়া গ্রামের মুকুল মোল্লার স্ত্রী রিনা পারভীন এবং ছোট কন্যা ও একই উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মিলন চৌধুরীর স্ত্রী শাহানাজ পারভীন।

১২/১৩ দিন চিকিৎসা শেষে নওয়াপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল গফুরের ছোট কন্যা শাহানাজ পারভীন গত ৬ জুলাই স্কুল পড়ুয়া ২ পুত্র সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করার পর দীর্ঘ ২২ দিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছোট কন্যা মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর ১৪ জুলাই দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সেজ কন্যা ও  পারুলিয়া এনসিসি ব্যাংক  কর্মকর্তা মি: মোকছেদ এর আপন ভাই মুকুল মোল্লার স্ত্রী রিনা পারভীন (৩৬)( ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি ২ কন্যা (যার মধ্যে বড় কন্যা কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ৬ বছরের ছোট কন্যা স্কুলে পড়াশুনা করে), স্বামী, শাশুড়ি, পিতা, ২ বোন, পারুলিয়া এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু জাফর বাবুল সহ ৩ ভাই, দেবর, ভাসুর সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভাকাক্সক্ষী বা আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নামাজে জানাজা শেষে মরহুমা রিনা পারভীন কে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে গফুর শেখের ছোট কন্যার মৃত্যুর ১ সপ্তাহ পর সেজ কন্যার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এছাড়া শেখ আব্দুল গফুরের বড় কন্যা, সরকারি কেবিএ কলেজের প্রভাষক ও সংবাদকর্মী  মনিরুজ্জামান (মহসিন) এর আপন ছোট চাচী  মমতাজ পারভীন আপন ২ বোনের মৃত্যুর খবর না জানলেও তিনি ১৬/১৭ দিন যাবৎ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তুলনামূলক অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে শেখ আব্দুল গফুরের ৪ কন্যার মধ্যে ২য় কন্যা ও নাংলার ঘোনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম ঢালীর স্ত্রী খুকুমনি পূর্বে স্ট্রোক করায় অনেকটা অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে আছেন বলে জানা গেছে।