দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার বহেরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারী সহ আপত্তিকর অবস্থায় হেলাল উদ্দিন নামের ওই প্রতিষ্ঠানের ফার্মাসিস্টকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২য় তলায় একটি রুমে তাদেরকে আটক করে। আটক হওয়া ওই ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দিন। সে জামালপুরের সাহেব মিয়ার ছেলে এবং দেবহাটা উপজেলার বহেরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত আছেন।
স্থানীয়রা জানান, বহেরা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট পদে চাকুরির সুবাদে স্থানীয় বহেরা সাহাজিপাড়ার ২২ বছরের এক যুবতীর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। শনিবার বিকালে যখন ওই যুবতী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২য় তলার একটি রুমে প্রবেশ করে। তখন স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি সন্ধেহ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘসময় ওই যুবতী না ফিরে আসলে স্থানীয় কয়েকজন এসে ওই রুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। পরে সেখানে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ওই যুবতীর পরিবারকে খবর দেয়। এদিকে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় ইউপি সদস্য ফতেমা খাতুন সহ স্থানীয় গ্রামপুলিশ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড হওয়ায় এসময় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এঘটনায় অভিযুক্ত ফার্মাসিস্ট হলাল উদ্দিন বলেন, আমি মাংস রান্না করছিলাম। তাই তাকে মসলা বাটার জন্য আসতে বলি। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে রাজি আছি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে। আমি সেখানে একজন মেডিকেল অফিসার পাঠিয়েছি। একই সাথে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলন সাহা বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ফার্মাসিস্ট যদি প্রকৃত অপরাধী হয়ে থাকেন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।