নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার পারুলিয়া মৃধাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসানের অপসরণের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে সোমবার বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভার আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধীজন ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন। একপর্যায়ে অভিযোগের বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তিব্র উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম ও পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুর মধ্যস্থতায় পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবিদ হাসান তানভীর বলেন, শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসান দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অনিয়মিত, বিভিন্ন সময় এসে শুধু সাক্ষর করে চলে যান। বিদ্যালয়ের ল্যাপটব নিজের আয়ত্তে রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে বলা হলেও তিনি পরিবর্তন না হয়ে উল্টো বিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। এমনকি আমাদের উপর উল্টো চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে মহড়া দেয়। আমরা তাকে এই বিদ্যালয় থেকে অপসরণের দাবি জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসানের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত সকলে শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসানের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। সেই মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজ হাসান জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সব মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।