দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার ফিরোজ ঢালী (২১) নামের এক ইটভাটা শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্য হয়েছে। ফিরোজ ঢালী দেবহাটা উপজেলার জোয়ার (১) গুচ্ছগ্রামের সাইফুল ঢালীর ছেলে। ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাস্তা গ্রামের বাস্তাখোলা রুবেল কোম্পানীর ইটভাটায় কর্মরত ছিলেন তিনি। মৃত শ্রমিক ফিরোজের সহকর্মীরা বলছেন, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে তার স্বজনরা বলছেন, তাকে ঢাকার ইটভাটায় হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গুচ্ছগ্রামের বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি সদ্ধিগ্ধ হিসেবে ওই ইট ভাটার সর্দার পারুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আনছার গাজীর ছেলে বাবলু গাজী (৪০) কে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার পরবর্তী আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, দেবহাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের ইটভাটা কাজের জন্য নিয়ে যেতেন সর্দার বাবলু গাজী। ফিরোজ ঢালিসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিককে সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক ঢাকার ধামরাই থানার বাস্তাখোলা রুবেল গ্রুপের ইটভাটায় কাজের জন্য নিয়ে যান তিনি। রোববার সর্দার বাবলু গাজী ফিরোজ ঢালিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধামরাইয়ের পাশ্ববর্তী মানিকগঞ্জের সুটুদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
হাসপাতালে নেয়ার আগেই ফিরোজের মৃত্যু হয়েছে বলে সেখানকার হাসপাতাল ডেথ সাটিফিকেট ইস্যু করেন। সোমবার রাত ১টার দিকে সর্দার বাবলু শ্রমিক ফিরোজের মরদেহ নিয়ে এ্যম্বুলেন্স যোগে দেবহাটায় তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পেরে ফিরোজের স্বজনরা সর্দার বাবলুকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ।
ঘটনাটি আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব বলেও জানান ওসি। এদিকে আটক শ্রমিক সর্দার বাবলুর স্বজনদের দাবী, ঢাকায় ইটভাটায় কাজে যাওয়ার আগে ও পরে পরিবারিক কলহ সহ নানা বিষয়ে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ছিলেন শ্রমিক ফিরোজ ঢালী। একপর্যায়ে সেখানে কীটনাশক পান করেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় সর্দার বাবলু শ্রমিক ফিরোজ ঢালীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।