দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার খেজুরবাড়িয়া এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই মানুষের বসতবাড়ি, চলচলের রাস্তা, মসজিদের ঈদগাহ ডুবে থাকতো পুরো এলাকা। এতে করে পানিবাহিত রোগ ও নানা সমস্যা লেগেই থাকতো বছর জুড়ে। বিষয়টি জানার পর দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম আবু নওশাদ বৃহস্পতিবার নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষের দূর্ভোগের কথা শোনেন। সাথে পানি নিস্কাসনের উপায় বের করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে সমাধান করেন। যা ইতোপূর্বে প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বিষয়টি সমাধানের উপায় বের করতে পারেননি কেউেই। এদিকে দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। জলাবদ্ধতা নিরাসন হওয়ায় জনসাধারণের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান, মেরিন ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য নবাব আলী, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা। এদিকে, উপজেলার নাজিরের ঘেরের বড়শান্তা ও ছোটশান্তা এলাকায় টানা অতিবৃষ্টির কারণে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিছু অসাধু ঘের মালিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে পানি আটকে রেখে ছিলেন। ফলে জলাবদ্ধতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম আবু নওশাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরিদর্শনকালে ইউএনও বলেন, “জনগণ কষ্ট পেলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। আজকের মধ্যেই ঘেরের পানি ছাড়ার ব্যবস্থা করুন, না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইউএনও’র এমন কঠোর নির্দেশের পর সব ঘের মালিক ঐক্যবদ্ধভাবে একই দিনেই পানি ছাড়ার সম্মতি দেন। স্থানীয়রা জানান, দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কেটে যাবে এবং কৃষক ও মৎস্যচাষিদের সম্ভাব্য ক্ষতি অনেকটাই কমে আসবে।