লিটন ঘোষ বাপি: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব আর কিছুদিন পরই অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশের মতো দেবহাটা উপজেলার মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শিল্পীরা প্রতিমা তৈরিতে আর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের অভিজ্ঞ হাতের নিপুণতায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দুর্গাকে। এবার উপজেলা জুড়ে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ২১টি পূজা মন্ডপে। উপজেলার কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাটির প্রতিমা তৈরীর পর দেবী দুর্গাকে সাজাতে সুনিপুন হাতে রং তুলির আঁচড় দেয়ার কাজ চলছে কিছু কিছু মন্ডপে। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় একটু একটু করে দেবী দুর্গা সেজে উঠছেন আপন ঐশ্বর্যে। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। আর ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আনুষ্ঠানিকতা। তাই হাতে একদমই সময় নেই প্রতিমা কারিগরদের। প্রতিমা নির্মানের কাজ শেষ করতে তারা সকাল থেকে রাত অবধি পরিশ্রম করে চলেছেন। উপজেলা ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো, স্ব-স্ব মন্ডপে কমিটি নির্ধাারিত পোশাক ও ব্যাজ পরিহিত স্বেচ্ছাসেবক এবং আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারি থাকবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা বলেন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব পালন করতে পারেন সেজন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে ইউএনও ও ওসি জানিয়েছেন। শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগাম মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে তারা জানিয়েছেন। এছাড়া র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিও রয়েছে। পূজা ঘিরে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।