দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার ঢেপুখালিতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ফারুক হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঢেপুখালী গ্রামের মৃত কুরমান গাজীর ছেলে আইয়ুব আলী গাজী বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এতে নোড়ারচক এলাকার আবুবক্কার গাজী (বাক্কু) এর ছেলে আলী হোসেন (২৬), মৃত কালু গাজীর ছেলে আবুবক্কার গাজী (বাক্কু) (৫৩) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। লিখিত এজাহার সূত্রে এবং আহত আইয়ুব আলী জানা যায়, ঢেপুখালী বিলে ৩ বিঘা পরিমান আমার একটি মৎস্য ঘের আছে। আমার ঘের সংলগ্ন দক্ষিন পাশে অভিযুক্তদের একটি মৎস্য ঘের আছে। উভয়ের ঘেরের মাঝ খানে কোন গর্ত না থাকলেও তারা নিজেরা গর্ত সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময় আমাকে মিথ্যা দোষ দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির হুমকি দিয়ে আসছিল। পূর্বের ধারাবাহিকতায় শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা অনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে আমার পুত্র ফারুক হোসেন বাড়ী হতে একটি নতুন মটরসাইকেল ক্রয় করার বের হয়। ওই সময় অভিযুক্তরা তাকে টেনে হিঁচড়ে আমার মৎস্য ঘেরের দক্ষিণ পাশের ভেড়ি বাঁধের উপর নিয়ে যায় এবং বলতে থাকে বাঁধের ভিতরে গর্ত করেছিস কেনো, “তোকে আজ জীবনে শেষ করে ফেলব” এই বলে আমার পুত্র ফারুক হোসেন (৩৫) কে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আলী হোসেনের হাতে থাকা ধারালো দা দ্বারা আমার পুত্রের মাথার মাঝখানে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। একই সাথে আবুবক্কার গাজী (বাক্কু) লোহার রড দিয়ে আমার পুত্রের পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটাতে থাকে। তাদের আক্রমণে আমার ছেলে ভেঁড়িবাধের উপর পড়ে গেলে তার কাছে থাকা ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে এগিয়ে আসলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমার পুত্র ফারুক হোসেনকে সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, দেবহাটার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।